শিরোনাম
◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয় ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন দায়িত্বে নতুন এসপিদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেলো এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ◈ ক্লাসে না ফিরলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ◈ ইসিকে তফসিল ঘোষণায় সময়সুবিধা বিবেচনার আহ্বান নাহিদ ইসলামের ◈ র‌্যাং‌কিং‌য়ের সেরা আটে মোস্তাফিজ, রিশাদ-ইমন-সাইফদের উন্ন‌তি ◈ ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ক্লাব, খেল‌বে লাতিন বাংলা সুপার কাপ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ চেয়ে নতুন কর্মসূচি ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ ১৯ দেশে অভিবাসন ও গ্রিন কার্ড আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন” ◈ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই: ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি বাণিজ্য উপদেষ্টার (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫০ রাত
আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খান আসাদ: সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রতি সম্মতি উৎপাদন

খান আসাদ: গ্রামেও অনেক মানুষ মনে করে, ‘মাইরের উপর ওষুধ নাই’। অনেক অনেক দিন শিক্ষকেরা মনে করতো ‘শাস্তি ছাড়া শিশুদের শিক্ষা দেয়া সম্ভব না’। এরা স্কুলে শিক্ষার জন্য ‘বেত মারা’ সঠিক মনে করতো। এখনো মাদ্রাসায় শিশুদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া স্বাভাবিক মনে করা হয় না শুধু, আঘাতের জায়গা বেহেস্তে যাবে বিশ্বাস করা হয়। অনেক রক্ষণশীল নৃতাত্ত্বিক মনে করে ‘মানুষের’ ইতিহাস যুদ্ধের ইতিহাস। এদের অনেকের মতে যুদ্ধ ছাড়া ‘সভ্যতা’ হতোনা। অনেক ‘বামপন্থী’ মনে করে কেবল মাত্র সশস্ত্র সংগ্রাম করেই শ্রেণিবৈষম্য ও পুঁজিবাদ বিলুপ্ত করা যাবে।

যুদ্ধ, সহিংসতা, সন্ত্রাসের, গল্প উপন্যাস ও চলচ্চিত্র অনেক পপুলার। এই নিয়ে দুটি মত আছে, একটি মনে করে, মানুষের মধ্যে এগুলোর কপিক্যাট প্রভাব থাকে। আরেকটি মনে করে, মানুষের অবদমিত আক্রোশ বেরিয়ে যাওয়ার উপায়। চলচ্চিত্রের সহিংস ভিলেন যখন নায়কের (ইদানিং নায়িকাদেরও) পদাঘাতে কোলবালিশের মতো উড়ে যায়, তা দর্শককে খুব আনন্দ দেয়, কারণ সে চায় বাস্তব জীবনেও ক্ষমতাবান দুর্বৃত্তরা অমন কঠিন শাস্তি পাক।

রেগে থাকা অনেক নারীবাদী নারী ও শিশুর প্রতি প্রতিটি সহিংসতার ‘কঠোর শাস্তি’ চায়। মনে করে ‘শাস্তি দিলেই নিপীড়কেরা ভয় পাবে’। আর কোনো সহিংসিতা হবে না। এরা কেন মানুষ সহিংস, সেটা জানতে আগ্রহী না। অনেক রক্ষণশীল অপরাধবিজ্ঞানী মনে করে জেলখানা খুব কঠোর হওয়া দরকার। বিপরীত চিন্তাও আছে, নরওয়েতে, যেখানে কয়েদি ও পাহারাদারদের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। কেন মানুষ মনে করে সন্ত্রাস বা সহিংসতা প্রয়োজন?

একটি কারণ পূর্বধারণা, মানুষের ভালোত্বে অবিশ্বাস। এরা মনে করে, মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই সহিংস, দাঙ্গাবাজ। মানুষ জন্মগতভাবেই প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী। অনেকে প্রচার করে, পুঁজিবাদ একটি মানব প্রকৃতির সাথে মিলে যাওয়া ব্যবাস্থা, কারণ সব মানুষ স্বার্থপর ও একা একা সুখে থাকতে চায়। মোদ্দা কথা, মানুষ সম্পর্কে বা মানুষের প্রকৃতি সম্পর্কে চরম নেতিবাচক ধারণা।
গবেষণায়, গল্প, উপন্যাসে, চলচ্চিত্রে, বর্ণবাদী ও সাম্প্রদায়িক মানুষের বয়ানে, যেভাবে মানব চরিত্র নেতিবাচক হিসেবে বর্ণনা করা হয়, সেটি কেন ভুল। যুদ্ধের ইতিহাস কতোদিনের। পুঁজিবাদী ব্যবস্থার মধ্যেও দুনিয়ার নানা দেশে যে সমবায়ী সাম্যবাদী সফল উদ্যোগ রয়েছে, এই নিয়েই Rutger Bregman এর "Human Kind: A Hopeful History" বইটি। ব্রেগমানের মতে, মানুষ আসলে প্রকৃতিগতভাবে সহযোগিতা, স্বাধীনতা ও সাম্যে বেঁচে থাকতে চায়।

...ডাক্তারের চেম্বারে বসে, শেষের অংশটুকু পড়ছিলাম। ডাক্তার জানতে চাইলেন কী বই। বললাম, সে তার নোটে বইটির নাম লিখে রাখল। তারপর সে আফগানিস্থান নিয়ে আমার মতামত জানতে চাইলো। একপর্যায়ে, সে বললো, ‘জার্মানিতে যদিও বৈষম্যবিরোধী আইন আছে, কিন্তু আমি বৈষম্যের পক্ষে’। সদ্য শেষ করা ব্রেগমানের Human Kind পড়া না থাকলে, আমি হয়ত এই লোকেরে বাতিল করে, অন্য ডাক্তারের কাছে যেতাম। ‘তুমি হয়তো অন্য কথা বলছো, প্রতিটি মানুষ আলাদা, তাঁদের জন্য একই রকম (Similar) আচরণ করা ভুল হতে পারে। তুমি হয়তো সবাইকে একইভাবে দেখা হোক এটা চাওনা। পজিটিভ ডিস্ক্রিমিনেশন বলে একটি ব্যাপার আছে। আমরা একমত হই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়