আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] মঙ্গলবার কান্দাহারে ফিরেছেন তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লাহ্ আবদুল গনি বারাদার। তিনি তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়েরও প্রধান।তিনি কোথা থেকে ফিরলেন তা স্পষ্ট নয়। তবে তালেবানের বেশিরভাগ নেতা কাতারের রাজধানী দোহায় ছিলেন। বিবিসি
[৩] কান্দাহার শহরটি তালেবানের আধ্যাত্মিক জন্মস্থান। ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী তাদের বিতাড়িত করার আগে পর্যন্ত এই শহরটি ছিলো তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কান্দাহার বিমানবন্দর থেকে যখন বারাদার গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন, তখন উচ্ছ্বসিত জনতা তাকে অভিবাদন জানায়।
[৪] প্রতিষ্ঠাতা নেতা মোল্লাহ্ ওমরের সন্তান মোহাম্মদ ইয়াকুব। তার বয়স প্রায় ৩০ বছর এবং তিনি দলের সামরিক শাখা প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৬ সালে আখতার মানসুরের মৃত্যুর পর তালিবানের একটি অংশ তাকে দলের সুপ্রিম লিডার বানাতে চেয়েছিলো। তবে অন্যরা তাকে বয়স কম ও অনভিজ্ঞ বলে মনে করেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদ ইয়াকুব আফগানিস্তানেই রয়েছেন।
[৫] তালিবানের অন্যতম শীর্ষ নেতাদের একজন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। পিতা জালালুদ্দিন হাক্কানির মৃত্যুর পর তিনি হাক্কানি নেটওয়ার্কের নতুন নেতা হন। আফগান ও পশ্চিমা বাহিনীর ওপর ভয়াবহ সব হামলার জন্য এই দলকে দায়ী করা হয়। তাকে দ্রুতই প্রকাশ্যে দেখা যেতে পারে।
[৬] ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবদুল হাকিমকে দোহা আলাচনার প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে তালিবান। ধারণা করা হয় তার বয়স ৬০ বছর। পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তিনি। এখানে বসেই তালিবানের বিচার বিভাগেরও দেখভাল করেন তিনি। তালেবানের অনেক জেষ্ঠ্য নেতাই পাকিস্তানের কোয়েটাতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন, যেখান থেকে তারা কার্যক্রমও পরিচালনা করেন। এদেরকে কোয়েটা শুরা বলে বর্ণনা করা হয়।
[৭] হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন নেতা ও সামরিক কমান্ডার আনাস হাক্কানি আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডন্ট হামিদ কারযাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। আফগানিস্তানের সাবেক সরকারের শান্তি দূত আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ কাবুলের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আগে মনে করা হতো, আনাস হাক্কানিকে ২০১৬ সালেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।
আপনার মতামত লিখুন :