মাসুদ আলম : [২] সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার থেকেই রাজধানীতে চালু হয়েছে গণপরিবহন। তবে অর্ধেক সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, অন্যদিকে রাস্তায় অর্ধেক গণপরিবহন চলাচল করায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী মানুষ। বাস গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। দাঁড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে যাত্রী।
[৩] বৃহস্পতিবার সরজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন সংকট। মোড়ে মোড়ে মানুষের ভিড় ছিলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী এবং কাজে বের হওয়া মানুষরা। তবে বাস অর্ধেক চলাচল করলেও সড়কে নেমেছে প্রচুর পরিমাণে যানবাহন। ফলে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। সিএনজি ও রিকশায় গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন ভাড়া।
[৪] ভাটারা বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, সকাল থেকে শত শত মানুষ অফিসে যাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়ানো কিন্তু গণপরিবহন সংকটের কারণে অনেকেই পায়ে গন্তব্যে যান। আবার অনেক বাসের দরজা বন্ধ। কোনো বাসে সিট খালি নেই। সিএনজি ও রিকশা চালকরা ভাড়া যাচ্ছে দ্বিগুন। প্রাইভেট কারের চাপ রয়েছে সড়কে। তাই সকাল থেকে রাস্তায় যানজট দেখা যাচ্ছে।
[৫] ডিএমপির দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক পলাশ সরকার বলেন, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় সকাল থেকে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এছাড়া ঢাকার বাহির থেকে যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ করায় যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয়। আবার কেউ রাস্তার ওপর গাড়ি পার্কিং করে রাখেন। যারা ট্রাফিক আইন মানছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :