জাকির হোসেন তপন: মানুষের শারীরিক সৌন্দর্যকে নানাভাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবার যে অবিরাম প্রয়াস আমরা চিরকাল দেখেছি এর পেছনে আসলে কী! প্রতিটি মানুষের মনে আরও বাহ্যিক সৌন্দর্যের আকাক্সক্ষা, তাই তো দলে যে মেয়েটি বা ছেলেটি অপেক্ষাকৃত ‘দেখতে ভালো’ তাঁকে ঘিরেই মূলত সব আলোচনা আর কর্মকাণ্ড। আবার কখনো তাত্ত্বিক আলাপ এলে বলা হয় যে, বাইরের সৌন্দর্য কিছুই না। অথচ ইতিহাস বলছে, কেবল এই শারীরিক সৌন্দর্য, আরেকটু স্পেসিফাই করলে বলতে হচ্ছে যৌনাবেদনময়ী নারীদের জন্য বিশ্বের অনেক বড় ঘটনা ঘটে যায়।
হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আপনাদের মনে এই প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে- যৌনাবেদনময়ী আছে অথচ ‘যৌনাবেদনময়’ নেই!? কখনো কোথাও কোনো পুরুষের যৌনাবেদন নিয়ে কথা হয়? একদম যে হয় না তা নয় এ নিয়ে আন্তর্জাতিক র্যাংকিং পর্যন্ত হয়। এই উপমহাদেশের ইমরান খান, উস্তাদ জাকির হোসেন, শাহরুখ খান, ঋত্বিক রোশন এরকম আরও অনেকেই টপ সেক্স আপিল সম্পন্ন পুরুষ হিসেবে শিরোনামে এসেছেন একেক সময়ে। তবে নারীর ক্ষেত্রে এটা যেভাবে আর যে দৃষ্টিতে দেখার রেওয়াজ পুরুষের ক্ষেত্রে সেভাবে নয়। যেহেতু এই পৃথিবীর সবগুলো দেশই পুরুষতান্ত্রিকতা দ্বারা চালিত, অর্থনৈতিক/রাজনৈতিক ক্ষমতা পুরুষের হাতে তাই এমনটা হচ্ছে।
সৌদি রাজপরিবারের সন্তান আদিল আল ওতাইব আমেরিকান রিয়েলিটি স্টার কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ১ মিলিয়ন ডলার করে খরচ করতে প্রস্তুত ছিলেন। একজন সাচ্চা সউদি মুসলিম হয়েও এই যুবরাজ পরকাল পর্যন্ত ধৈর্যটা ধরে রাখতে পারেননি (৭২ হুরের কথা বললাম, আরকি!) অথচ ওই কঠোর ইসলাম ধর্মীয় নিয়মনীতিতে চলা দেশটিতে সামান্য কারণে মানুষের শিরশ্ছেদ করার মতো বর্বর রীতি চালু রয়েছে। নারীর কোনো ধরনের স্বাধীনতাই নেই। অথচ ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর সদস্য হবার সুবিধায় একজন ভিনদেশি পরনারীর সাথে অবৈধ (ইসলামের দৃষ্টিতে!) মেলামেশায় কেউ কোনো সমস্যা দেখেনি। আর থাক। লিখতে ইচ্ছা করছে না কিছু কী হবে এসব লিখে! অন্ধের দেশে চশমা ফেরি করে কী লাভ! ফেসবুক থেকে