শরীফ শাওন: [২] ডেভিড চারন পরিচালিত ফ্রান্সের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাস্ট মার্সেনারি’ সিনেমা ৩০ জুলাই নেটফ্লিক্সে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ‘মইেড ইন বাংলাদেশ’ নিয়ে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ, বুলেটপ্রুফ টাক্সেডো, মেড ইন ফ্রান্স। বাংলাদেশের হলে আমি মরে যেতাম।’ যা ‘মইেড ইন বাংলাদেশ’র সকল পৃষ্ঠপোশক ও উৎপাদনকারীদের আঘাত করেছে।
[৩] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রোববার এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে নেটফ্লিক্স ও ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চিঠি পাঠিয়েছে। এসময়, সিনেমা থেকে সংলাপ বা দৃশ্যটি বাদ দেয়া পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে তা স্ট্রিম বন্ধ করার অনুরোধ জানানো হয়।
[৪] টিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ যেখানে ‘বুলেট-প্রুফ পোশাক’ উৎপাদন করে না ফলে সিনেমায় মন্তব্যটিও অপ্রাসঙ্গিক এবং অযৌক্তিকভাবে যুক্ত হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, উন্নতি, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, টেকসই উৎপাদন এবং সবুজ বিপ্লবের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের রপ্তানিমূখি পোশাক শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
[৫] এমন মন্তব্যে সংশ্লিষ্ট খাতের ৪০ লাখ পোশাক শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, গুণমান এবং সময়মতো উৎপাদনের প্রতিশ্রুতির অবমাননার সমতুল্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ১৬০ টি দেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক সরবরাহ করছে। আমরা মনে করি এই অসম্মানসূচক মন্তব্যগুলো শুধু ‘মেইনড ইন বাংলাদেশ’র উন্নয়ন সহযোগীদের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টায় যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসা প্রাপ্তির অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে) অবমাননা নয় বরং মার্কিন হাজারো ভোক্তাকে অসম্মান করা হয়েছে, যারা ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পোশাকপণ্যকে জনপ্রিয়তার তালিকায় রেখেছে।
[৬] ফারুক হাসান জানান, বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকরা তাদের সমস্ত একনিষ্ঠতা ও প্রতুশ্রুতি দিয়ে বৈশ্বিক মানের শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ব্র্যান্ডের জন্য পন্য রপ্তানি করে। তাদের এই গর্ব ও কঠোর পরিশ্রমকে সকলে সম্মান করা উচিত।