শরীফ শাওন: [২] করোনা সংক্রমণরোধে জনসাধারণের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। তবে বিধিনিষেধ ভেঙ্গে সড়কে বেড়েছে যানবাহন, খোলা রাখা হয়েছে এলাকার দোকানপাট। সন্ধ্যায় চায়ের দোকানসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তরুন-তরুনিসহ উৎসুক জনতার ভিড়।
[৩] গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও শনিবার মিরপুর, বনানী, মহাখালি, ধানমণ্ডি, কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহানের আধিক্য দেখা যায়। প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও রিক্সার আধিক্য থাকায় বিভিন্ন সড়কে যানবাহনের ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়। সকলেই ‘জরুরি’ অযুহাত দিয়ে সড়কে নেমে আসায় তদারকি করা কঠিন হয়ে পড়েছে জানিয়েছেন মহাখালি ও বনানীতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
[৪] প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড করা হলেও উৎসুক জনতা সড়কে নেমে আসছেন। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না, আবার মাস্ক থাকলেও তা মুখে না দিয়ে থুতনি বা গলায় ঝুলিয়ে চলাফেরা করছেন। টিসিবির পণ্য বিক্রিয়কেন্দ্রগুলোতেই মানানো যাচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
[৫] শনিবার বিকেলে মিরপুরের কালসির প্রধান, ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠ, লালমাঠসহ বিভিন্ন খোলা যায়গায় শিশুদের ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। তবে সন্ধ্যা নামলেই এসব স্থানে ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান খোলা হয়। তরুন-তরুনিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জড়ো হতে শুরু করে। ডি ব্লকের স্থায়ী বাসিন্দা মো. ইব্রাহীম জানান, রাত দশটা পর্যন্ত ঈদগাহ মাঠ দেখলে মনে হয়, এখানে মেলা বসেছে।