শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২১, ০১:৫৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা কেবল শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নয়

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: অনেকেরই ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা একটা ফাঁকিবাজি চাকরি। দিনে দুইএকটা ক্লাস। আর এই করোনার সময়েতো একদম বসে বসে বেতন খাচ্ছে আর পরের মাসের ১ তারিখের জন্য অপেক্ষা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার কাজকে মাপতে জানতেও ন্যূনতম কিছু জ্ঞান বুদ্ধি লাগে। ক্রিস্টালের মধ্যে থাকা দুটো এটমের দূরত্ব মাপতে আমরা যেই স্কেল ব্যবহার করব পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব মাপতে নিশ্চই একই স্কেল ব্যবহার করব না। এইটা বোঝারও ক্ষমতা থাকতে হয়। শিক্ষকতা পেশাটাকে বুঝতে জানতে হয়। বাহিরের চোখে শিক্ষকতা পেশাকে যা দেখা যায় সেটাই সব না।

যখন মানুষে ভাবে আমি অলস বসে আছি, কিছু করছি না। তখনই আসলে আমি সবচেয়ে বেশি কাজ করি। সেই সময়টাই হলো সৃষ্টিশীল কাজের ব্রিডিং গ্রাউন্ড। আমরা যদি এই আপাত অলস সময় না পাই আইডিয়া আসবে কীভাবে? যখন কাজের মধ্যে থাকি তখন কি কেউ সৃষ্টিশীল আইডিয়া পায়? আমি যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটি, টয়লেট করি, শাওয়ারের নিচে থাকি, এমনি আনমনে বসে থাকি সেই সময়গুলোতেই আমি আমার সকল গবেষণার আইডিয়াগুলো পেয়েছি। যারা শিক্ষক গবেষক তারা রাস্তাঘাট দিয়ে চলার সময় অন্যমনস্ক হয়ে যায় কারণ তারা ভাবে। এই ভাবনাগুলোই জরুরি। এমনতো হয়নি যে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বলে খুশিতে গদগদ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য দাবি জানিয়েছি। এই দাবির পক্ষে অনলাইনে সেমিনার করেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছি, বিভিন্ন পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে খোলার দাবি জানিয়েছি। অনেকেই ১ ঘন্টার একটি ক্লাসকে ১ ঘন্টার কাজ মনে করে। ১ ঘন্টার ক্লাসের পেছনে কতো ঘন্টার প্রস্তুতি থাকে সেটা কতোজন জানে? আর অনলাইন ক্লাস প্রস্তুত করতেতো সময় আরো বেশি লাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা কেবল শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নয়। গত ১৫ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় বন্ধ ছিলো। আসলে কি তাই? হ্যাঁ অধিকাংশ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্যাললি যেতে হয়নি। কিন্তু নিয়মিত ক্লাস নিয়েছি। তবে ল্যাব ক্লাস নেওয়া হয়নি কারণ সেটা অনলাইনে নেওয়া যায় না। আমি ইন কোর্স পরীক্ষা নিয়েছি। ফাইনাল পরীক্ষা দুই দুইবার তারিখ দিয়েছি সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে নিতে পারিনি। এই ১৫ মাসেই আমি সবচেয়ে বেশি গবেষণা করতে পেরেছি। অনেকগুলো আর্টিকেল লিখেছি, ১ টি বইয়ের চ্যাপ্টার লিখেছি, ৪ জন মাস্টার্সের ছাত্রের থিসিস ংঁঢ়বৎারংব করছি। এইসব সকলের চোখে পরবে না। সব কিছুই কি দেখিয়ে দেখিয়ে করতে হবে? এই জন্যই যে শিক্ষক বেশি গবেষণা করে তার শ্রেণিকক্ষের লোড কমিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষে গবেষণা কেন সম্ভব না? কারণ অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ই শিক্ষকদের সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্লাস দিয়ে ডুবিয়ে রাখে। ক্লাস না থাকলে তাদের এডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ দিয়ে রাখে। শিক্ষকরা যাতে অলস বসে না থাকে সেইজন্য বছরে ৩টি সেমিস্টার চালু করেছে। আমি বিশ্বাস করি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যদি কম ক্লাস দিয়ে গবেষণায় মনোযোগ দিতে বলত তাহলে তারা গবেষণা করতে পারতো। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান, বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়