আফরোজা সরকার: [২] সাবেক জেল কর্মকর্তার সঙ্গে অভিনব প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।
[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন জানান, গত ২ আগস্ট রংপুর নগরীর সিও বাজারের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রংপুর কারাগারের সাবেক সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর আনজু মিয়া (৫১)।
[৪] এ ঘটনায় আনজুর স্ত্রী রংপুর মেট্রোপলিটন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন ৩ আগস্ট পিবিআইয়ের একটি টিম নিখোঁজ আনজু মিয়াকে রংপুর নগরীর ডিসির মোড়ে অবস্থিত ‘সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্র’ থেকে উদ্ধার করে।
[৫] রংপুর পিবিআই আরো জানায়, ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম সরকার ওরফে অনামিকা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ৬ মাস আগে বিমানে ভ্রমণের সময় অনামিকার সঙ্গে পরিচয় ও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর আদান-প্রদান হয় আনজু’র।
[৬] ২ আগস্ট সকালে অনামিকা ফোনে আনজুকে রংপুর জিলা স্কুলের গেটে ডেকে পাঠান। সেখানে একটি নোহা গাড়িতে বসে থাকা অনামিকাকে দেখে আনজু এগিয়ে গেলে ২-৩ জন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে এবং জোরপূর্ব পার্শ্ববর্তী সুস্থ জীবন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
[৭] এরপর আনজুকে নগদ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকা এবং হাতঘড়ি, স্বর্ণের আংটি, ড্রাইভিং লাইসেন্স খুলে নেয়। এ বিষয়ে আনজু আটককারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে অনামিকার অনুরোধে মাদকাসক্তের চিকিৎসার জন্য নিরাময় কেন্দ্রে আনা হয়েছে।
[৮] এরপর জব্দকৃত টাকা ও স্বর্ণের জিনিষপত্র অনামিকা নিয়ে বাকী কাপড় চোপড় ও আনজুর মোটরসাইকেল ভাইয়ের এসে নিয়ে যাবে বলে সটকে পড়ে অনামিকা। এরই মধ্যে নিরাময় কেন্দ্র থেকে আনজুর ডোপ টেস্টও করা হয়।
[৯] আনজু’র নিখোঁজের বিষয়টি পিবিআইয়ের নজরে আসলে ৩ আগস্ট তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পিবিআইয়ের সদস্যরা দিনাজপুর থেকে আনিকা তাসনিম ওরফে অনামিকাকে গ্রেপ্তার করে।
[১০] পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, কথিত নারী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতারক অনামিকা সরকার ও অন্যান্য সদস্যরা ছদ্মবেশে নিত্য নতুন প্রতারণা করে মানুষকে ঠকিয়ে থাকে। এদের নামে বিভিন্ন থানায় মামলাও রয়েছে। এ মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং গ্রেপ্তার অনামিকাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান