সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমাদের এলাকায় যে সরকারি আবাসনগুলো আছে, আমরা তাদেরকে বারবার চিঠি দিয়েছি, সতর্ক করেছি। আমরা বলেছি যেন তারা সেগুলো পরিষ্কার করেন।
[৩] তিনি বলেন, পরিদর্শনে এসে দেখা গেলো এখানে লার্ভা পাওয়া গেছে। এটি আসলে খুবই দুঃখজনক। আমরা যদি নিজেরা নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিছন্ন না রাখি, উৎসগুলো নিধন না করি, কোথাও যেনো জমতে না পারে-সে বিষয়ে যদি সচেতন না হয়, তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ।
[৪] মেয়র বলেন, তারপরও আমরা কাজ করে চলেছি। আমরা আশাবাদী, এই চিরুনি অভিযানের ফলে ডেঙ্গু রোগী বা এডিস মশার বিস্তার আমরা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারব। কিন্তু কাজটি অত্যন্ত দুরূহ, তারপরও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
[৫] বুধবার খিলগাঁওয়ের পিডব্লিউডি কলোনিতে মশক নিধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ কথা বলেন।
[৬] যেখানেই সরকারি আবাসন সেখানেই নোংরা, অপরিচ্ছন্নতা দৃশ্যমান এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এখন কঠোর হচ্ছি, জরিমানা করছি। তারপরও আমরা দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতা লক্ষ্য করছি। এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।
[৭] তিনি আরো বলেন, আমরা যদি সবাই দায়িত্ব¡শীল ভাবে কাজ করি তাহলে এটার বিস্তার এতদূর হতে পারে না। আমরা এখন ঘরে ঘরে যাচ্ছি। যত তথ্য পাচ্ছি, সবগুলোই আমরা নির্দিষ্টভাবে আমরা সেখানে গিয়ে কাজ করছি।
[৮] জনগণ সচেতন না হলে ১ কোটি ২০ লাখ জনবসতির এই শহরে এডিস নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও দুরূহ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, তারপরও আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে যদি ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে সকলের দায়িত্বশীল-সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
[৯] এর আগে তিনি টিটি পাড়া পাম্প স্টেশন সংলগ্ন মান্ডা খালে বৃক্ষরোপণ করেন। পরে তিনি মতিঝিল টি এন্ড টি কলোনিতে মশক নিয়ন্ত্রণ, সেগুনবাগিচা ও ইস্কাটন গার্ডেন রোডে নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
[১০] এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।