শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০২ আগস্ট, ২০২১, ০২:০২ রাত
আপডেট : ০২ আগস্ট, ২০২১, ০২:০২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ: বাংলাদেশের জিডিপি অথবা আর্থিক প্রবৃদ্ধির মূল সোর্স ‘সস্তাশ্রম’!

সৈয়দ ফায়েজ আহমেদ: বাংলাদেশের জিডিপি অথবা আর্থিক প্রবৃদ্ধির মূল সোর্স হচ্ছে সস্তাশ্রম। মূলত দুনিয়ার সবচেয়ে সস্তা শ্রমের গার্মেন্ট শ্রমিক এবং একইরকম মজুরি ও চরমতম কঠিন জীবন কাটানো প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয়ের ওপর ভর করেই এই দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। এর ফলে, রুঢ সত্য হইলো, এইসব শ্রমিকদের মজুরি বা জীবনমানের বৃদ্ধি চলমান মডেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সুবিধা কেড়ে নেবে। শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিতে হইলে গার্মেন্ট ব্যাবসা ভিয়েতনামের মতো দেশে চলে যাবে আর প্রবাসী শ্রমিকদের মিনিমাম মানবিক জীবনের আশা করলে সেই চাকরি আফ্রিকান কিংবা এশিয়ার অন্যন্য দেশের শ্রমিকদের কাছে যাবে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবেই আজীবন চলবে? উত্তর হ্যাঁ হবে যদি এখনকার ব্যবস্থায় যারা বিপুল সুবিধাভোগী তারাই যদি ক্ষমতায় থাকে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চাইলে জিডিপি কমে যাবে না? অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব পড়বে না? না। একদম পাড় পুঁজিবাদী উন্নয়ন অর্থনীতি অনুসারেই এই উত্তর না। কারণ এই যে শ্রমশোষণ, এর গালভরা নাম হইলো ক্যাপিটাল একুমুলেশন।

পুজিবাদীর পুঁজি বাড়তে থাকবে এবং সেটা দিয়ে সে পরের ধাপে আরো উন্নত বিনিয়োগ করবে। এই ব্যাপারটাকে বিমানের আকাশে উড়ার সঙ্গে তুলনা দেন কেউ কেউ। অর্থাৎ উড়ার গতি সঞ্চার করার জন্য রানওয়েতে যে দৌড় দেওয়া লাগে ওই স্টেজ হচ্ছে ক্যাপিটাল একুমুলেশন। এর পরের ধাপে শিক্ষা, প্রযুক্তিসহ আরো উন্নত বিনিয়োগে যাওয়াটা হচ্ছে লক্ষ্য। সস্তা গার্মেন্টসের বদলে আরও ভালো পন্য বা সার্ভিস প্রোভাইড করা। আর এতে কেবল পুঁজিবাদী শ্রেণির প্রফিট মার্জিন বাড়বে তাই না, শ্রমিক শ্রেণির মজুুরি ও জীবনমান বৃদ্ধি পাবে। এর বড় উদাহরণ দক্ষিণ কোরিয়া, যারা একদা গার্মেন্টস শ্রমের ওপর নির্ভর করলেও টেকঅফের পরের স্টেজে চলে গেছে। আরেকটা উদাহরণ ভারতের কেরালা, যারা একসময় সস্তাশ্রমের রেমিট্যান্সের ওপর ভর করলেও এখন তাদের গড়পড়তা শ্রমিকদের শিক্ষা ও সার্ভিসের মান অনেক উন্নত হওয়ায় জীবনমান বেড়ে গেছে বহুগুন। এই যে টেকঅফ মডেল এইখানেও শোষণ আছে, অসাম্য আছে কিন্তু বাংলাদেশের মতো একেবারে আদিম লুটপাট, সস্তা শ্রমের নামে জঘন্যতম দাসপ্রথা অনেকটাই কম।

বেসিক প্রশ্নে ফিরে আসি। তাহলে ব্যবস্থা পরিবর্তনের উত্তর হ্যাঁ হবে কীভাবে? এরজন্য দরকার কঠোর জবাবদিহিতা। মূলত শ্রমিকদের পাশবিক জীবনের বিনিময়ে যে ক্যাপিটাল একুমুলেশন হচ্ছে সেইটা যে মালিক শ্রেণির সম্পদ না সেইটা প্রথমত নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, এই ক্যাপিটালকে টেক অফে পরের স্টেজে যাওয়ার জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তিসহ মানবসম্পদের সর্বোচ্চ উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। তবে এই জবাবদিহিতা অর্জনের জন্য শ্রমিকশ্রেণির দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়ানো লাগবে। তা না হলে, বিদ্যামান ব্যবস্থায়, শ্রমিকদের পোড়া লাশকে মাংসের ফ্রাই আর অনিঃশেষ ভোগান্তির ফলে উৎপাদিত মধু যারা খায়, তারা এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হতে দিবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়