ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সুপরিচিত খাদ্য সরবরাহকারী গ্রুপ নেসলে, নেসক্যাফে, কফি এবং পুরিনা পোষা খাবারের মত ব্রান্ডেড কোম্পানিও তাদের খাদ্য দ্রব্যের মূল্য স্বল্প সময়ের জন্য বৃদ্ধি করার চিন্তা করছে। সিএনএন বিজনেস
[৩] বছরের প্রথমার্ধে কফির চাহিদার কারণে তাদের কিছুটা লভ্যাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। যার কারণে হয়তো সারা বছরের আয়ের উপর একটি প্রভাব ফেলবে।
[৪] বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালে তাদের লাভের পরিমাণ ছিল ১৭.৭ শতাংশ আর এ বছর সর্বোচ্চ তা ১৭.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। হয়তো ২০২২ সালে এই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে তারা।কোম্পানিটির চিফ এক্সিকিউটিভ স্নাইডার জানিয়েছেন, আমরা পুরো বছরের উপর তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছি। সতর্কতার অংশ হিসেবেই মনে করছি যে দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা আবশ্যক হয়ে পড়বে এ বছরের শেষের দিকে আর এরই অংশ হিসেবে হয়তো কফির দাম বছরের শুরুতে একটু বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই মুদ্র্রাস্ফীতি তেমন ছিল না। কোভিড মহামারিতে লকডাউন ও এরফলে শিল্পকারখানায় উৎপাদন হ্রাস ও পরবর্তীতে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও কাঁচামালের সংকটে মুদ্র্রাস্ফীতি প্রবল আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। আর এটি সরাসরি আঘাত করছে আমাদের ব্যবসায় ক্ষেত্রে। যদিও আমরা মনে করছি এই অবস্থা ক্ষণস্থায়ী হবে।
[৫] কোম্পানিটি হয়তো বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এসে মূল্য কিছুটা বাড়াবে। সেটা ৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য ২ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি করা হতে পারে। বছরের প্রথমার্ধে কফির মূল্য ১.৩ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। একটি একই পথে হাঁটছে পিয়ার ইউনিলিভার। গত সপ্তাহে তারা জানিয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের পণ্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে মুদ্রাস্ফীতি সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য। কেপলার বিশ্লেষক জন কক্স বলেন, বাজার সম্ভবত একটা অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে বিশেষ প্রয়োজনীয় খাদ্যও বাদ যাচ্ছেনা মূল্যবৃদ্ধি দিক থেকে।
[৬] তবে নেসলে নিশ্চিত করেছে যে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের আগে খাবারের মূল্য কমানো সম্ভব হবে না। এত কিছুর মাঝেও নেসলের নিট মুনাফা কিছুটা বেড়ে ৫.৩৯ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৬.৪৯ ডলার) এ পৌঁছেছে। সম্পাদনা : রাশিদ