শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২১, ০৬:১৫ বিকাল
আপডেট : ২৮ জুলাই, ২০২১, ০৬:১৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] শিগগিরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু

শাহীন খন্দকার: [২] বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনা বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকা কার্যক্রম আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাঝখানে টিকা সরবরাহের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে বন্ধুপ্রতীম জাপানের কাছ থেকে কিছু টিকা পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।

[৩] তিনি আরও বলেন, সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও কিছু টিকা কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব। আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, অল্প সময়ের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দেশে সব কেন্দ্রেই এখন বন্ধ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান। দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ১৫ লাখ ২২ হাজার মানুষ। তবে আশা জাগাচ্ছে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে আসা প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। মাসখানেকের মধ্যে আরও ৩৭ লাখ টিকা আসার কথা।

[৪] এদিকে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্র সম্প্রসারণের কাজ চলছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাশাপাশি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআই কর্মীদেরও যুক্ত করা হচ্ছে এ কার্যক্রমে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এবারের যে কর্মসূচি এখানে আরো ও দক্ষ লোকবল কেবল হাসপাতালভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়েছে।

[৫] তিনি বলেন, যদি ইপিআই কর্মসূচিতে কাজ করা কর্মীদের যুক্ত করা যায় তাহলে টিকাদান কার্যক্রম গতি পাবে। এতে মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া খুব অসম্ভব কাজ হবে না বলেও মন্তব্য করেন ডা. নাজমুল ইসলাম। এদিকে টিকা নেওয়ায় আগ্রহ বাড়াতে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে চলবে ৬ দিনব্যাপী প্রচারণা।

[৬] সে সময় কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন ৬০ লাখ মানুষ। এদিকে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে অর্থাৎ আগামী পাঁচ-ছয় মাসে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সরকারের হাতে বর্তমানে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ডোজ টিকা দেশে চলে আসবে। এ ছাড়া চীন থেকে তিন কোটি, রাশিয়া থেকে সাত কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা চলে আসবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়