মাছুম বিল্লাহ: [২] ভারতের নিউজ চ্যানেল এনডিটিভির এক খবরে বলা হয়েছে, এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নদ ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আসামকে বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের পরিকল্পনা অচিরেই বাস্তবায়িত করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৩] ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে এই বিষয়ক এক বৈঠকের পর রবিবার তিনি শিলংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। হিমান্ত শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহারে নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (এনইএসইসি) একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। মেঘালয়ভিত্তিক এনইএসইসি ডিপার্টমেন্ট অব স্পেস অ্যান্ড দি নর্থ ইস্টার্ন কাউন্সিলের একটি যৌথ উদ্যোগ, যার লক্ষ্য ওই অঞ্চলকে ভূপ্রাকৃতিক বৈরিতা মোকাবেলা করা।
[৪] তিনি বলেন, ‘পাইলট প্রকল্পে আসামের ধিমাজি জেলায় বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহার করা হবে।’ আসামের মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং এনইএসএসির বিশেষজ্ঞরা বর্ষায় ব্রহ্মপুত্রের পানি সরিয়ে নিয়ে রাখার জন্য ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার জলাভূমি এলাকা চিহ্নিত করেছেন।
[৫] ব্রহ্মপুত্র নদটি চীনের তিব্বতে উৎপত্তির পর ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। আসাম পানি প্রত্যাহার করলে এর বৈরী প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।