শিমুল মাহমুদ: [২] বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু যখন গুরুতর আকার ধারণ করেছে ঠিক তখনই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৫ জন। সরকারি হিসেবেই এ পর্যন্ত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৬৭৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪শ’৬০ ডেঙ্গু রোগী।
[৩] জ্বর নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে বলা হচ্ছে, করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আসার কথা। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্যক্তি একই থে কোভিড১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। কিছু লক্ষণ এবং উপসর্গ আছে যেগুলা শুরুর দিকে ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড১৯-এর ক্ষেত্রে একই রকম। সেক্ষেত্রে অনেক রোগীকে ডেঙ্গু জ্বর এবং কোভিড১৯ - দুটোর পরীক্ষা একসাথে করা হচ্ছে। তবে কে সাধারণ ফ্লু, কে ডেঙ্গু রোগী , কে করোনা রোগী বুঝার উপায় নেই।
[৪] প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুজ্বর এবং কোভিড১৯- দুটোই ভাইরাস জনিত রোগ হলে দুটোর মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। দুইটার ক্ষেত্রেই জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি, কাশি এবং স্বাদ না থাকা হতে পারে। করোনার ক্ষেত্রে এসব লক্ষণের সাথে নাকে ঘ্রাণ পায় না এবং কারো কারো পাতলা পায়খানা হয়। এছাড়া করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট-জনিত সমস্যা হতে পারে, যেটি ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে হয় না ।
[৫] মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, এ সময় অনেকের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শরীরব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এসব উপসর্গে গুরুত্ব দিতে হবে। করোনা ও সাধারণ ফ্লু দুটিই ভাইরাসজনিত রোগ। সংক্রমণ ছড়ায় পরস্পরের সংস্পর্শে, সর্দি ও হাঁচি-কাশির মাধ্যমে।
[৬] পরিস্থিতি মারাত্মক হলে দুটোর ক্ষেত্রেই নিউমোনিয়া হতে পারে। বয়স্ক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম ব্যক্তিদের জন্য ফ্লু ও করোনা দুটিই ঝুঁকিপূর্ণ। কিছু সচেতনতায় করোনা ও ফ্লু প্রতিরোধ করা যায়। যেমন মাস্ক পরা, হাঁচি–কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা ইত্যাদি।