জহিরুল ইসলাম: [২] লক্ষ্মীপুরের তিনটি উপজেলায় হঠাৎ মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জেলার রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিতের পাশাপাশি চরাঞ্চলের বিপুল ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের ডুবে গেছে। কমলনগরের চর মার্টিন এলাকায় একটি সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
[৩] শুক্রবার (২৩ জুলাই) দুপুর থেকে পূর্ণিমার প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারে নদীর পানি বেড়ে এই তিনটি উপজেলা প্লাবিত হয়।
[৪] স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। রামগতির বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্লাহ ইউনিয়ন
[৫] পরিষদের সদস্য মো. টিপু জানান, তেলির চর, উত্তর চর আবদুল্লাহ, চর গাসিয়া ও চর মোজ্জামেল পানিতে ডুবে গেছে। জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ও বাড়ির উঠান ডুবে বসতঘরে পানি উঠেছে। পানিবন্দি হয়ে কষ্ট পোহাচ্ছে হাজারও মানুষ। তিনি আরও জানান, তেলির চর বাজার, কামাল বাজার ও চেয়ারম্যান বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
[৬] রামগতি উপজেলার মেঘনার ভাঙন-কবলিত চর আলেকজান্ডার, সুজনগ্রাম, গাবতলী, চরআলগী, চরগোঁসাই, বালুরচর, চররমিজ, বড়খেরী, চরগাজী ও চরগজারিয়ার বিস্তীর্ণ জনপদ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
[৭] এদিকে কমলনগরে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ না থাকায় উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়ন, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন, চর মার্টিন ইউনিয়ন, চর ফলকন ইউনিয়ন ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের মেঘনা উপক‚লীয় এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
[৮] চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, চর মার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলম মেম্বার বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তাটি জোয়ারের তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে রয়েছেন চলাচলকারীরা।
[৯] রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা আরমান আলী ও হুমায়ুন জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারে অন্তত ৫-৬টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। এখানে বসবাসকারীরা অবহেলিত ও দরিদ্র। চরজালিয়া, চর ঘাষিয়া, চর ইন্দুরিয়া, কানি বগার চর, নতুন কানি বগার চরে ফসলের মাঠের ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় গরু-মহিষসহ গবাদিপশু নিয়ে লোকজন বিপাকে পড়েছেন। সম্পাদনা: হ্যাপি