স্পোর্টস ডেস্ক : যে ঝলক দেখিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয় সৌম্য সরকারের বেশিদিন সেটি ধরে রাখতে পারেননি। গেল কয়েক বছরে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। এই দলে ফেরেন, দু’দিন পর আবার বাদ পড়েন। প্রায় ৪ মাস পর ফিরলেন জাতীয় দলে। এবার অবশ্য হতাশ করেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে হাঁকিয়েছেন ফিফটি। বল আর ব্যাটে দারুণ নৈপুন্য দেখিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। নিজের ব্যাটিং নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন সৌম্য।
ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ৪ মাস পর আবার দলের হয়ে খেললাম। প্রথম দিকে ব্যাট করতে একটু সমস্যা হচ্ছিলো। পরে নিজের সঙ্গে নিজে কথা বললাম। ভাবলাম, একটা চার বা ছয় মারতে পারলে ইজি হয়ে যাবো। অমন একটা বলের জন্য ওয়েট করছিলাম, একটা শর্ট বল পেলাম, চার মারলাম। এরপর আবার কনফিডেন্স ফিরে পেলাম।
নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল নেই। ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় ওপেন করতে নামেননি লিটন দাসও। ফলে সুযোগ পেয়ে যান সৌম্য। নাঈমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন তিনি। দু’জনে মিলে গড়েন ১০২ রানের পার্টনারশিপ, যেটি দলের জয় সহজ করে দেয়। নিজের পছন্দের পজিশনে ব্যাট করতে নেমে বেশ সন্তুষ্ট তিনি।
সৌম্য বলেন, আমার নামার কথা ছিলো ৩-এ। লিটন ইনজুরিতে পড়ায় মাঠ থেকে উঠার পর জানতে পারি আমি ওপেন করবো। এক্সপেরিয়েন্স তো ছিলোই ওপেন করার। প্রথম দিকে যেহেতু রান আসছিলো না, নাঈমের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে একটা ওভার পেলেই আমরা ১০-১২ রান করে কাভার করে ফেলবো। পরে নাঈম যখন এক ওভারে ৩টা চার মারলো তখন আমরা দু’জনই ইজি হয়ে যাই।
তবে নিজের আউট নিয়ে হতাশ সৌম্য। ফিফটির পরপরই রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। খেলাটা শেষ করে আসতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছেন তিনি।
সৌম্য বলেন, হতাশ তো হয়েছিই। যেভাবে রানআউট হয়েছি খারাপ তো লাগবেই। যেভাবে খেলছিলাম আমি যদি থাকতাম তাহলে নিজের কনফিডেন্সও বাড়তো সঙ্গে আরো ২ ওভার আগে হয়তো ম্যাচটা জিততে পারতাম।
দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সৌম্য সরকারের টার্গেট এখন দলে নিজের অবস্থানটা পাকাপোক্ত করা।
তিনি বলেন, দলের বাইরে যখন ছিলাম প্র্যাকটিস তো করেছি। ওগুলা নিয়ে যখন কাজ করেছি, এখন দেখছি সব ঠিক আছে। কম্পিটিশান নিজের সঙ্গে নিজের। নিজে যদি ভালো খেলি তাহলে অবশ্যই আবার নিজের জায়গা ফিরে পাবো। অন্য কিছু চিন্তা করে টেনশান করতে চাই না। ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :