শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২১, ০২:৩৫ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২১, ০২:৩৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহবুব মোর্শেদ: জনগণ একটা মিথ, যে মিথ সামনে রেখে আধুনিক রাষ্ট্রের মেশিনগুলো কাজ করে

মাহবুব মোর্শেদ: জনগণ বলতে কিছু কি আসলে একজিস্ট করে? নাকি আমরা ধরে নিই যে জনগণ বলতে কিছু একটা আছে। শুধু যে আছে তাই নয়, জনগণ সারাক্ষণ কথা বলছে, মতপ্রকাশ করছে, জনগণ এটা চাইছে, ওটা করতে মানা করছে। জনগণ চায় বলেই সরকার এটা করছে, জনগণ চায় বলে সরকার ওটা করতে পারছে না। এই যে জীবন্ত জনতার ধারণার মধ্যে আমরা আছি এটা আসলে কী? এটা হলো একটা বানানো জিনিস। জনগণ একটা ম্যানুফ্যাকচারড এনটিটি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ সরাসরি তাদের মতপ্রকাশ করতে পারে নির্দিষ্ট সময় পরপর। চার বা পাঁচ বছর পর ভোট হলে তারা বলতে পারে লাল, নীল ও কমলা এই তিনের মধ্যে আমি নীল বেছে নিলাম। দুুই বা তিনের বাইরে বেছে নেবার অপশন তাদের নেই। নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে তারা যাদের নির্বাচিত করে তারা প্রিটেন্ড করতে থাকে যে তারা জনগণের কথা বলছে। কিন্তু আসলে কি তারা জনগণের কথা বলে? নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের কথা বলে তবে তাদের দলের কথা, শ্রেণির কথা, তার ব্যক্তি স্বার্থের কথা, কর্পোরেট স্বার্থের কথা কে বলে? জনপ্রতিনিধিরা জনগণের নামে কথা বলে। মিডিয়া প্রিটেন্ড করে তারা জনগণের কথা বলছে। বামপন্থীরা জনগণের নামে বলে, ইসলামপন্থীরা জনগণের নামে কথা বলে। বামপন্থীদের জনগণ সমাজতন্ত্র চায়, ইসলামপন্থীদের জনগণ ইসলাম কায়েম করতে চায়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন চায়। তাহলে জনগণ কি কথা বলে? বলে না। যারা কথা বলে তারা জনগণের নামে নিজেদের কথা বলে। এবং বলে দেয় এই কথা আসলে জনগণের। কিন্তু জনগণ কি আসলে কথা বলতে পারে?

আপনি রাাস্তায় দেখেন। বাজারে দেখেন। গ্রামে দেখেন। শহরে দেখেন। জনগণ কোথায়? আগে হয়তো জনগণ বলতে কিছু ছিল। কিন্তু এখন আছে কি? রাষ্ট্র তার ম্যাকানিজম দিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আপিন কথা বললে দেখবেন, প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের স্ট্রাগল নিয়ে ব্যস্ত। এমনকি খুব কম মানুষই আছে যারা পলিটিক্যালি অ্যাক্ট করে বা তাদের কোনো পলিটিক্যাল মত আছে। মাঝে মাঝে যে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, মিছিল ইত্যাদি আমরা দেখতে পাই। তারা কি জনগণ? সংগঠিত জনগণ? তারা আসলে কোনো না কোনো নেতার অধীনে অ্যাক্ট করে। নেতাই জনগণকে জনগণ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে অ্যাক্ট করে। বাংলাদেশের জনগণ সম্পর্কে একটা নতুন ধারণা গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে। এদেশের মধ্যবিত্ত, শহুরে সেকুলার সমাজ তার একটা সারসংক্ষেপও উপস্থাপন করে প্রায়ই। তা হলো ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে এদেশের জনগণ একটা ইসলামপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠা করে ফেলবে। ফলে, যারা ব্যাখ্যাটা দেন সেই জনগণ চায় যে কোনোভাবে ওই জনগণকে প্রতিহত করতে হবে। ঢাকার শাহবাগ চত্বরে একদা কয়েক লাখ লোক জমায়েত হয়ে বললো, আমরা জনগণ, আমরা এটা চাই। কিছুদিন পর শাপলা চত্বরে আরও বেশি লাখ লোক জমায়েত হয়ে বললো, আমরা জনগণ। আমরা ওটা চাই। তার মানে জনগণ বলতে তো কিছু আসলে নেই। জনগণ একটা মিথ। যে মিথ সামনে রেখে আধুনিক রাষ্ট্রের মেশিনগুলো কাজ করে। ফেসবুক থেকে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়