[১] উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গৃহবধুর আত্নহত্যা
কায়সার হামিদ মানিক: [২] উখিয়ার মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহনন করা এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
[৩] সুত্র জানায়,১৯জুলাই সোমবার সকাল সাড়ে ৮টারদিকে মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের আওতাধীন ক্যাম্প-৪,ব্লক-বি/১ এ বসবাসকারী শেড হতে রোহিঙ্গা রিয়াজুর মোবারকের স্ত্রী, ৩মাস বয়সী এক সন্তানের জননী তছলিমা বেগম (১৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহনন করা মৃতদেহ দেখতে পায়। তা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪এপিবিএন সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সকাল ১০টারদিকে উখিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করে।
[৪] উল্লেখ্য,১৮জুলাই বিকালে দেবর কাশেম মোবারকের লুঙ্গি ধোয়াকে কেন্দ্র করে পুত্রবধু তছলিমা এবং শ্বাশুড়ী ফাতেমা খাতুনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তারা নিজ নিজ রুমে ঘুমাতে যায়। রাত ২টার দিকে শ্বাশুড়ী নাতির কান্না শুনে রুমে গিয়ে দেখতে পায় শেডের চালের বাঁশের সহিত রশি দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে পুত্রবধু তছলিমার দেহ। তখন শ্বাশুড়ী শোর-চিৎকার করার পর আশে-পাশের রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে দা দিয়ে ফাঁসির রশি কেটে ভিকটিমের মৃতদেহ নিচে নামায়। ভিকটিমের কপাল বরাবর মাথায় চিকন রক্তাক্ত কাটা জখম রয়েছে।
[৫] এই ব্যাপারে ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মোঃ নাঈম উল হক জানান, গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধু আত্নহত্যার খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃত দেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক আনুসাঙ্গিক কার্যক্রম শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মৃতদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।