শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪৮ সকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাতেন মোহাম্মদ: বাংলাদেশে ই-কমার্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে পরিচালিত হয়?

বাতেন মোহাম্মদ: আমি তাড়াহুড়া করতে গিয়ে অনেকদিন ইভ্যালিকে ইতালী পড়েছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম ইতালির খবর তো আসার কথা খেলার পাতায়, সেটা বিজনেস পাতায় কেন? পরে যখন বুঝলাম আসলে ইভ্যালির সাথে ইতালীর কোনো কানেকশন নাই ততোক্ষণে নাকি কোম্পানির হটলাইনে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এইটা কিছু হইলো?

এরকম একটা কোম্পানি আমাদের ন্যাশনাল প্রাইড জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পন্সর কেমনে হয়? স্পন্সর নেওয়ার সময় কি সেই কোম্পানির ভ্যালু, সোশ্যাল রেপুটেশন, বিজনেস মডেল এসব স্টাডি করা হয় না? ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো যদি স্পন্সর হতে চায় তাহলে কি তাদের স্পন্সরশিপ নেওয়া হবে? এ-ই ধরনের কোম্পানির সোশ্যাল লেজিটিমেসি দেওয়ার জন্য জাতীয় প্লাটফর্ম ব্যবহার করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাদেরও জবাব্দিহিতার মধ্যে আনা উচিত। কারণ কোনো কোম্পানির ব্রান্ড ভ্যালু এবং সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে এসব স্পন্সরশিপ ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এখন যে হাজার হাজার মানুষ তাদের অর্থ সম্পদ খোয়ালো তার কি বিহীত হবে?

প্রথমত মানুষের অনিয়ন্ত্রিত লোভ দায়ী এ-ই ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিজনেস দাঁড় করাতে। কিন্তু অন্যভাবে চিন্তা করলে মানুষ তো জন্মগতভাবেই লোভী। সে সবসময় কনশাস ও সাবকনশাস মাইন্ডে প্রফিট ও রিস্ক ক্যালকুলেশন করে। এই কারণেই মানুষকে বলে রেশনাল বিং। সে লাভ দেখলেই ঝাপ দেবে। তাই মানুষকে সরাসরি এর জন্য দোষ দেওয়া যায় না। এটা বেসিক ইন্সটিংক্ট। এর জন্য দরকার পলিসি।

পুরো বিশ্বই এখন ই-কমার্সের দিকে চলে যাচ্ছে। এমাজন কোনো কিছু উৎপাদন না করেও শুধু ই-কমার্সের মাধ্যমে অন্যের পণ্য বেচে পৃথিবীর বৃহত্তম অনলাইন রিটেল শপ আর এর মালিক জেফ বেজোস পৃথিবীর প্রথম ধনী ব্যক্তি। এসব সবার জানা তথ্য। তবুও দিলাম, এইটা বুঝানোর জন্য যে পৃথিবীর অর্থনীতির বড় খেলোয়াড় এখন আলীবাবা কিংবা এমাজনের মতো ই-কমার্স ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও ম্যানেজমেন্ট প্রথাগত প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন। তাই এইগুলো পরিচালনার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার আইন ও ভিন্ন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হয়? তাদের লাইসেন্স কোন আইনে দেওয়া হয়? এসব লাইসেন্সিং কন্ডিশনে কাস্টমারের স্বার্থ সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর আমি জানি না। কিন্তু যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট কিংবা এ ধরনের ইস্যু নিয়ে পড়েন কিংবা খবর রাখেন তারা হয়তো জানেন।।এক্সক্লুসিভলি ই-কমার্সের জন্য কোনো আইন কিংবা পলিসি দেশে আছে কিনা? নাকি যে কেউ ইচ্ছে করলেই কোম্পানি আইনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা করতে পারে?

এ বিষয়ে একজন অজ্ঞ হিসাবে ঘাটাঘাটি করে দেখলাম আইসিটি এক্টকে ( প্রাথমিকভাবে এ-ই আইন ২০০৬ সালে তৈরি করা হয়) নাকি ২০১৩ সালে এমেন্ডমেন্ট করা হয়েছে ই-কমার্সকে এনকারেজ করতে এবং ফ্রডুলেন্ট ট্রাঞ্জেকশনকে সাইবার ক্রাইমের অধীনে এনে শাস্তির ব্যবস্থা নাকি আছে। এই আইন আরো সংশোধিত হয়েই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরি হয়েছে। মজার ব্যাপার, বাংলাদেশে আইসিটি অ্যাক্ট মানুষের বাকস্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ ও সরকারবিরোধী মতামতকে কণ্ঠরোধ করতে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা হচ্ছে সেই তুলনায় ই-কমার্স প্রমোশন কিংবা কাস্টমার রাইটস প্রটেকশনে কি ভূমিকা পালন করেছে সেটা আমার কখনো চোখে পড়েনি। আপনারা জানলে জানাবেন। তাছাড়া ই-কমার্সের জন্য তো একটা ডেডিকেটেড পলিসি থাকা উচিত। আইসিটি অ্যাক্ট তো মাল্টিডাইমেনশনাল অল এনকম্পাসিং ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। তাই এটা দিয়ে পুরোপুরি ই-কমার্সের সবগুলো বিষয় মনিটরিং কি করা সম্ভব?

ই-কমার্সের প্রসারে সরকারি ওয়েবসাইটে লেখা আছ, বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি ২০১৩ সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড ইউজ এলাউ করছে। এটা প্রমোশন? এটাই সরকারের অবদান? মর জ্বালা, আমার মতো বকলমের মাথায় ঢুকে না এ ধরনের রুটিন মনিটরিং ট্রাঞ্জেকশ সিস্টেম কীভাবে ই-কমার্সের মতো সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটা বিজন্সে মডেলের জন্য প্রমোশনাল স্টেপ হয়? যাইহোক,আমার কাছে মনে হয় ইভ্যইলর জালিয়াতিকে মানুষের চিরাচরিত ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু’Ñ এই প্রবাদ বাক্য দিয়ে দেখার সুযোগ নেই। আমার কাছে এটা টোটাল গর্ভনেন্স ফেইলয়োরের একটা ক্লাসিক বিজনেস এক্সাম্পল যেখানে যথারীতি ভিকটিম সাধারণ মানুষ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়