ইমরুল শাহেদ: তিনি বর্তমানে অনেকটাই আলোচনার বাইরে চলে গেছেন। কিন্তু চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা এলেই তার অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। প্রারম্ভে মুক্তি পাওয়া ‘নায়ক’ ও ‘মাতাল’ ছবি দিয়ে ক্যারিয়ারের গোড়াপত্তন করতে চাইলেও মজবুত করে গড়ে তুলতে পারেননি। তবে তার একটা ধারাবাহিকতা রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে সৈকত নাসির পরিচালিত ‘বর্ডার’ ছবির কাজ শেষ করেছেন। কাজ করছেন অপূর্ব রানা পরিচালিত ‘উন্মাদ’ ও ‘গিভ এ্যান্ড টেক’ ছবিতে।
আসলে এই ছবিগুলোর সাফল্য ব্যর্থতার উপর নির্ভর করছে অধরার ক্যারিয়ার। নতুন যারা বর্তমানে চলচ্চিত্রে কাজ করছেন তাদের মধ্যে অধরার কাজের প্রতি বিশ্বস্ততা আছে। তিনি চেষ্টা করেন, নিজের সাধ্য মতো শ্রেষ্ঠ কাজটা করতে। কোভিড মহামারির মধ্যে তাকে এবং বাপ্পী চৌধুরীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘কোভিড নাইনটিন ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি ছবির কাজ। শোনা যাচ্ছে সেটি এখন আর হবে না। কারণ পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই জটিল থেকে জটিলতরই হচ্ছে। এ ব্যাপারে অধরা গণমাধ্যমকে বলেন, পুরো ইন্ডাস্ট্রির বড় বাজেটের ভালো ভালো ছবি আটকে আছে।
কিছু ছবি প্রস্তুত থাকা সত্তে¡ও মুক্তি দেয়া যাচ্ছে না করোনা পরিস্থিতির কারণে। অনেক ছবির শুটিং আটকে আছে। আমারও কয়েকটি ছবিই আটকে আছে। করোনা পরিস্থিতিও ঠিক হচ্ছে না। কবে ঠিক হবে সেটাও অনিশ্চিত। অধরা বিষয়টি নিয়ে বলেন, আসলেই সময়টা কঠিন। এই সময়ে অনেক কাজ করা যেত। নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পেতাম। কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় এভাবেই চলে গেলো। কিছু করার নেই। সারা বিশ্বের মানুষের একই অবস্থা। এই সময়ে সচেতন থাকার বিকল্প নেই।
সুস্থ থাকলে অনেক কাজ করা যাবে।’ চলচ্চিত্রে পরিচালক শাহীন সুমনই অধরা খানকে পূর্ণ সহযোগিতা করে যাচ্ছিলেন। শাহীন বর্তমানে শাপলা মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একশ’ ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এসব ছবিগুলোকে কেন্দ্র করে সব নায়িকার নাম উচ্চারিত হলেও অধরা সেখানে নেই। শাহীন সুমন বলেন, অধরা এখন ব্যবসায়িক কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। যেসব ছবি নির্মিত হচ্ছে সেগুলোতে তাকে দরকার হয়নি। দরকার হলে তাকে অবশ্যই অফার দেওয়া হবে।