শরীফ শাওন: [২] সরকার ঘোষিত লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকলে লেটসামার, ক্রিস্টমাস ও বড়দিন এবং আগামী শীতের কার্যাদেশ হাতছাড়া হয়ে যাবে। একমাসের রপ্তানি সিডিউল গড়মিল হলে তা ছয় মাসের সিডিউলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর সুযোগ নেবে প্রতিযোগী দেশগুলো, যেমন আমরা নিয়েছি ভারত ও মিয়ানমার সমস্যার কারণে।
[৩] বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএ, বিটিটিএলএমইএ এবং বিটিএমএ’র যৌথ চিঠিতে বিষয়টি উল্লেখ করে কারখানা খোলা রাখার অনুরোধ জানানো হয়। এদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সভায় আলোচনা শেষে সচিব ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয়া হয়।
[৪] চিঠিতে বলা হয়, সকলের কাছে পর্যাপ্ত কার্যাদেশ রয়েছে, এখনই সময় ঘুরে দাঁড়াবার। ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের সকল বাজার খুলতে শুরু করেছে। জাহাজীকরণে রয়েছে প্রচন্ড চাপ, শিপমেন্ট বিলম্ব হলেই এয়ার শিপমেন্ট দিতে তারা বিলম্ব করছে না। এমনিতেই সুতোর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে এবং কন্টেনার ও জাহাজ সংকটে রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত। এছাড়াও বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে।
[৫] আরও বলা হয়, ২৩ জুলাই-৫ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকলে পরবর্তী ২-৩ দিন পর কর্মীরা কর্মস্থলে ফিরবে। ঈদের ছুটিসহ ১৮-২০দিন বন্ধ পেলে সকলেই গ্রামে যাবে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। কারখানা শ্রমিকরা যতোক্ষণ কর্মক্ষেত্রে থাকবে তারা নিরাপদ থাকবে, ইতোমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে।