শাফায়েত নূরুল: [২] সারা বাংলাদেশের প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে লকডাউনে ও সেবা দিয়ে যাচ্ছে ১৪ হাজার সিএইচসিপি। অন্যদিকে যেখানে অন্যাঅন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ সেখানে বিরামহীন ভাবে গ্রামের হতদরিদ্রদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা।
[৩] নিকলী সদর ইউনিয়নের কুর্শা কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান মোঃ শিহাব উদ্দিন (সিএইচসিপি) জানান আমারা এখন পর্যন্ত কোন প্রনোদনা পায় নি এবং আমাদের চাকুরী ২০১৮ সালে জুলাই মাসে সংসদে স্থায়ীকরণ করা হলেও আমরা এখন পর্যন্ত সরকারী কোন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। দশ বছর ধরে এক বেতনে চাকুরী করতে হচ্ছে ১৪ হাজার সিএইচসিপিকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক হওয়া সত্বেও কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এদিকে সারা বিশ্বে রোল মডেল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। বিশ্ব দরবারে প্রশংসনায় ভাসছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সৃষ্টি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ।
[৪] প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫৬ লক্ষ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ২৯ প্রকারের ঔষধ বিতরণ করা হয়। গর্ভবতী মায়েদের জন্য পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ আছে। এছাড়াও এখানে ডায়াবেটিস, রক্তের হিমোগ্লোবিন, রক্তের গ্রুপ, রক্তচাপ, ওজন-উচ্চতা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। জটিল রোগীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করা হয়ে থাকে। প্রায় ৫ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলীভারী করা হয়ে থাকে। দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপির দাবী ২০১৮ সালে মহান সংসদে চাকুীর স্থায়ীকরন করা হলেও সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি।
[৫] নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্যও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খান নূর উদ্দিন মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, নিকলী উপজেলার প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৪০-৪৫ জন রোগী আসে সেবা নিতে। যাদের অনেকের করোনার উপসর্গের সাথে মিল পাওয়া যায়। আমরা সকল সিএইচসিপিকে করোনা সমপর্কে প্রশিক্ষণ করেয়েছি। এবং সকল সিএইচসিপি এপপসের মাধ্যমে করোনা রোগী নির্ণয়ের কাজ করছে।