মাহামুদুল পরশ: [২] মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার একটি সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন আন্ততর্জাতিক রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফের ১৩তম আসরের ৩য় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী। সাক্ষাৎকারে কিশোয়ার বলেন, মাস্টারশেফে আংশগ্রহণ করার কথা আমি কখনো ভাবিনি।
[৩] আমি সবসময় বাসায়ই রান্নাবান্না করি। আমার ছেলে আমাকে একদিন বললো তোমার এই প্রতিযোগিতায় যাওয়া উচিৎ। তার স্বপ্ন ছিলো আমাকে টেলিভিশনে দেখবে। সে সবসময় আমাকে উৎসাহিত করতো মাস্টারশেফে আবেদন করার জন্য। এক পর্যায়ে আমার ছেলের কথা অনুযায়ী আমি আবেদন করি এবং তার পরের ঘটনাটি আপনারা জানেন।
[৪] প্রতিযোগিতার সময় কোনো ধরনের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কিশোয়ার বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন কি হবে তা আগে থেকে আমরা জানতে পারতাম না। এমনকি সকালে ঘুম থেকে উঠেও আমরা জানতাম না আজ আউটডোর শুটিং হবে নাকি ইনডোর বা আজ চ্যালেঞ্জে কি থাকবে। এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের মতো ছিলো আবার অনেক উত্তেজনাপূর্ন একটা বিষয় ছিলো।
[৫] তিনি বলেন, মাস্টারশেফে আমি প্রতিটি রান্নার সময় চেষ্টা করেছি রান্নার মাধ্যমে আমার থিম সেট করতে। আমি যখন বাঙ্গালি খাবার রান্না করেছি তখন সেটার সঙ্গে অন্য দেশ অথবা অঞ্চলের খাবার একত্রিত করে পরিবেশন করিনি। আবার আমি যখন ইতালিয়ান খাবার রান্না করেছি তখন শুধুমাত্র ইতালিয়ান রান্না করেছি।
[৬] রান্না নিয়ে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে কিশোয়ার বলেন, অবশ্যই মান্টারশেফ অনেক বড় একটি প্লাটফর্ম কিন্তু আমার মনেহয় আমার সংস্কৃতির রান্না নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। আমি মনেকরি মাস্টারশেফের মাধ্যমে রান্না নিয়ে আমার যাত্রা শুরু হয়েছে। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান