জাকারিয়া জোসেফ : [২] রোগী দেখতে বাড়িতে না যাওয়ায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে বখাটের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন চিকিৎসক। হাসপাতালের পাশ্ববর্তী শহরের হাসননগর এলাকার মো.মিজানুর রহমান নামের এক বখাটে সদর হাসপাতালের আবু জাহিদ মাহমুদ নামের এক চিকিৎসককে চড় মেরেছে। এ ঘটনায় বখাটে মিজানুর রহমান মিজান আটক করেছে পুলিশ।
[৩] মঙ্গলবার সকাল ৭ টা ২২ মিনিটে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।
[৪] অভিযুক্ত বখাটে মিজানুর রহমান মিজান (২০) শহরের হাসননগর আরব উল্লাহ’র এলাকার ছেলে। মিজানের ভাই অসুস্থ তাই সকালে সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসককে বাসায় নিতে এসেছিল সে। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু জাহিদ মাহমুদ বলেছিলেন,হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ফেলে বাসায় যাওয়া যাবে না। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে। এরপর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মিজানুর রহমান তার ভাইকে নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু জাহিদ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করে।
[৫] খবর পেয়ে ঘটনার পরপরই সকালে সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.আনিসুর রহমান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য চিকিৎসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাঞ্ছনার শিকার চিকিৎসক আবু জাহিদ মাহমুদ বখাটে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।
[৬] বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.আনিসুর রহমান বলেছেন, সকালে এক রোগীর স্বজন এসে জরুরিবিভাগের ডাক্তারকে তার বাসায় নিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি যাননি।এরপর ওই রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে এসে জরুরিবিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনায় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
[৭] সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা.আনিসুর রহমান বলেন লাঞ্ছিত চিকিৎসক বলেন, তার কথামত তার বাসায় গিয়ে রোগী না দেখায় সে আমাকে লাঞ্ছিত করেছে, আমি এর বিচার চাই।
[৮] প্রসঙ্গত,মিজানুর রহমান এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের শ্রাবন্তী কোচ (২২) নামের এক নার্সের গলায় ছুরিকাঘাত করে আহত করেছিল। সে সময় মিজানুরের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং নার্সরা কর্মবিরতী পালন করেছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ