মিরাজুল ইসলাম: ইতালী জেতায় আমার প্রেডিকশন সঠিক হওয়ায় নিজেকে ‘গণক’ মনে হচ্ছে। আর্জেন্টিনার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলেও ইংল্যান্ডকে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে আরও দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর। স্টেডিয়ামে অনেক শিশু এসেছিলো ১৯৬৬ সালে শেষবারের মতো ইংল্যাণ্ডের জয় দেখা দাদা-নানার সঙ্গে। তারা এখন ফুঁপিয়ে কাঁদবে। সেই দৃশ্য দেখে ইতালী কিংবা জার্মান সমর্থকেরা অবশ্য ব্রিটিশ দর্শকদের মতো অতোটা অসভ্যতা করবে না।
ওদিকে জাতীয় দলে কোনো কিছু অর্জন না করেই সুপারস্টার বনে যাওয়া ডেভিড বেকহ্যাম ভেবেছিলেন ইংল্যান্ড জিতলে টম ক্রুজের সাথে শ্যাম্পেনে ভিজবে। পার্টিটা ভেস্তে গেলো। ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন ভেবেছিলেন, প্রথমবার কোনো শিরোপা ঘরে তুলতে পারলে রাণী মাতা ‘নাইটহুড’ দেবেন কিংবা সাউথগেট পেতেন ‘স্যার’ উপাধি। হলো না, তাও সুযোগ আছে ৫৫ বছর পর ফাইনালে সুযোগ পাওয়ায়। আগামীতে এমন সুযোগ কি আসবে?
আমি ঠিকই জানতাম গ্ল্যাডিয়েটর হারাবে সিংহদের। ইতিহাস তো তাই বলে। আর্জেন্টিনা ও ইতালী স্বাগতিকদের তাদের মাঠে হারিয়ে কোপা ও ইউরোকে স্মরণীয় করে রাখলো। আমার পরম স্বস্তি, দুই মহাদেশে দুই ঘরানার লড়াই শেষে লিওনেল মেসির হাসিটাই এখন সবচেয়ে উজ্জ্বল ও উচ্চকিত। ইতালী ইউরো জেতায় মেসির ‘সপ্তম ব্যালন ডি অর নাউ লোডিং ...’! ধন্যবাদ কিলিয়ানি-বানুচি গং...! এখন চোখ বন্ধ করে আন্দ্রে বচেলির অপেরা শুনবো ...। লেখক ও চিকিৎসক