রাহুল রাজ: [২] সাদমান ইসলাম অনিক। নিজের ক্যারিয়ারের ৮ টেস্টে ১ সেঞ্চুরিসহ রয়েছে ২ টি অর্ধশত। ৩৪.৭ গড়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১১৫। হারারে টেস্টের পরেই নতুন করে আবার শুরু হয় সাদমানকে নিয়ে আলোচনা। কিন্তু টাইগার ভক্তদের কাছে সাদমান পরিচিতি লাভ করেন আরো আগে, সময়টা তখন ২০১৪ সাল।
[৩] পাকিস্তানের ইমাম-উল-হক, দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাডাম মারক্রাম, ইংল্যান্ডের বেন ডাকেটদের ছাপিয়ে সেবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ৬ ইনিংস ব্যাট করে ৪০৬ রান তোলেন। গড় ১০১.৫০, একটি শতক, দুটি অর্ধশতক, সর্বোচ্চ ১২৬ অপরাজিত। সাদমান ইসলাম অনিকের আন্তর্জাতিক অভিষেক আরো আগেই হতো। কিন্তু বাবা শহীদুল ইসলাম কখনোই চাননি তার ছেলে দুই-এক ম্যাচের খেলোয়াড় হোক।
[৪] শহীদুল ইসলাম জানান, সাদমান চাচ্ছিলো অনেক আগে থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে তবে আমি চাচ্ছিলাম পরিপক্ক হয়েই জাতীয় দলে খেলুক, আগেও সুযোগ ছিলো, কিন্তু সে সুযোগ পায়নি, তখন সে আপসেট হয়েছিলো, কিন্তু আমি ওকে বলেছি যতো সময় যাবো ততোই ভালো হবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, ছেলেকে টেস্ট ক্রিকেটার বানানোর স্বপ্নটা অনেক পুরোনো। ছোটবেলা থেকেই ওকে এভাবে গড়ে তুলেছি, রানের চেয়ে উইকেটের মূল্য বেশি দিতে হবে। ২ হাজার -২০০১ এমন সময়ে আমার ছেলের বয়স ৬-৭ বছর তখন বাংলাদেশ আড়াই তিনদিনে হেরে যেতো।
[৬] আমার ছেলেকে এমন ক্রিকেটার গড়ে তুলতে চেয়েছি যাতে সে উইকেটের মূল্যায়নটা বোঝে, আমি এখনো বলি বিপিএল বা এমন খেলা নিয়ে তার মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই, টেস্ট খেলার পক্ষপাতীই থাকুক।
[৭] বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের গেম ডেভেলপমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম। তার অধীনেই উঠে এসেছে সাকিব, মুশফিকের মতো ক্রিকেটাররা। ওদেরকে যেই চোখে দেখি সেই একই নজরে আমি আমার ছেলেকে দেখেছি। সাদমানের ব্যাচমেট মিরাজ, শান্তরা, জানতো না ও আমার ছেলে। আমি নিজেই এটা কখনো জানতো না, বুঝতে দেইনি। একই রকম স্নেহ করেছি সবাইকে।
[৮] ঘরের মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগে সাদমান দুটি সেঞ্চুরিম তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৬৪৮ রান করে সবার ওপরে ছিলেন। দশ ইনিংসে তার সংগ্রহ ছিল মাট রান ৬৪৮ রান। হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি নিজের বাবা-মাকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :