শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুলাই, ২০২১, ০৪:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন: যখন ছবি কথা বলে

কামরুল হাসান মামুন: মানুষ যখন উপহার হিসাবে কাউকে কিছু দেয় সেটার গুণমান উৎকৃষ্ট হওয়া উচিত। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার গৃহহীন লোকদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ ১ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি গৃহ নির্মাণ করেছে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে আবাসন সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে এটি সরকারি কর্মসূচির অংশ। দারুন একটা আইডিয়া। এর যথোপযুক্ত প্রশংসা করার মত ভাষা আমার জানা নাই। সেইরকম একটি প্রকল্পকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ লোকদের দুর্নীতির কারণে যেই কালিমা লেপন করা হলো তার কোন মাফ নাই। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট লোকজন অন্যসব খাতে দুর্নীতি করতে করতে এদের বিবেচনা বোধ সম্পূর্ণ লোপ পেয়েছে। ছোটবেলায় প্রচলিত একটা কথা শুনতাম যে বানিয়ারা মায়ের জন্য অলংকার বানাতে গিয়ে সেখান থেকেও স্বর্ণ চুরি করতে ছারে না।

এরা নিজেরাতো দান করবেই না। আবার প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার হিসাবে যেই ঘর বানাচ্ছে সেখানে এমনতর লুটতরাজ মানা যায় না। তারপরও প্রকল্প পরিচালককে বলতে শুনলাম "যে কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেগুলো মেরামতের আশ্বাস দিয়ে প্রকল্প পরিচালক মাহবুব হোসেন বলেছেন, একটি সংঘবদ্ধ মহল এই প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচার করছে, যা কাম্য নয়।" যা কিছু ছবির মাঝে স্পষ্ট। এখানে আরো স্পষ্ট এই অল্প কয়দিনেই এতগুলো ভেঙেচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরেকটি বর্ষা মৌসুম গেলে কতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে? এটাতো সহজ ঐকিক নিয়ম করলেও একটু ধারণা পাওয়া যায়।

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেছেন "আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ পাচ্ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।" - এইগুলো হলো কোন অভিযোগ থেকে বাইম মাছের মত পিছলাইয়া যাওয়ার জন্য আমাদের আমলাদের মুখস্ত কথা। আমার ধারণা এই ভাষা এদের ট্রেনিং এর একটি অংশ। প্রকল্প পরিচালক আরো বলেছেন: "প্রায় ৩০ ফুট গভীর খালের কিনারা ঘেঁষে এসব ঘর তৈরি করায় বৃষ্টিতে একপাশের মাটি সরে গেছে। এতে ২২টি ঘরের ১০টিই ভেঙে পড়েছে। এখন খালের ধারে বাঁশের পাইলিং দিয়ে মাটি ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।" এইরকম খালের কিনারা ঘেঁষে ঘর বানানো হলো কেন? মানে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে কি কোন ধরণের প্রযুক্তি এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা প্রয়োগ করা হয়নি? নাকি "ভিক্ষার চাউল কারা আর আকারা" এই ধারণা থেকে এইসব বানানো হলো?
একই অবস্থা দেখি আমাদের প্রাইমারি স্কুল বা মসজিদ বানানোর ক্ষেত্রেও। আমরা কি কোনদিন সভ্য হবো না। প্রধানমন্ত্রীর উচিত বিষয়টাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়ে সবাইকে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা যেন ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না হয়। এই রকম কাজ করেও যদি এরা সব পার পেয়ে যায় তাহলে দেশ আর কোনদিন ঠিক হবে না।

লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়