মোস্তাফিজুর রহমান: [২] ঢামেকে চার সন্তান জন্ম নেয়া শিশুদের মধ্যে এক (কন্যা) সন্তান মারা গেছে। আরেক সন্তানের অবস্থাও ভালো না। শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি শিশুদের বাবা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত কাল রাত বারোটার সময়ে মারা গেছে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন বাকি তিন সন্তানের মধ্যে আরও একজনের অবস্থা ভালো নেই, বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[৩] শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক। তিনি বলেন, আরও একজনের অবস্থাও ভালো না। আমরা যথা সাদ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।গতকাল শনিবার (৩,জুলাই) বিকাল দুইটা ত্রিশ মিনিটের সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তান জন্ম দেন তিনি। তিন ছেলে এক মেয়ে।
[৪] কিশোরগঞ্জ জেলা তাড়াইল উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী পিংকি আক্তার। এর আগে তাদের মাহিন(৪) নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
[৫] শিশুদের বাবা বাড্ডা এলাকায় ইউনিলিভার কোম্পানিতে সেলস্ ম্যান হিসাবে চাকুরী করেন। বাড্ডার সাতারকুলে থাকেন। স্ত্রী থাকতো গ্রামের বাড়ি। গত তিন মাস আগে স্ত্রী কে ঢাকায় এনে আমার কাছে রেখেছি। পরে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি।
স্ত্রী পিংকি গৃহিনী।
[৬] হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাচ্চাদের মা সুস্থ আছেন। চার শিশু সাত মাসে জন্ম নেয়ায় কিছুটা সমস্যাও রয়েছে। ওজনও তুলনামুলক কম, একজনের ওজন এক কেজি তিন’শ গ্রাম, বাকি তিন জনের ওজন নয়শত পঞ্চম গ্রাম করে। তাই তাদের শিশু আইসিইউর প্রয়োজন হয়। আমাদের এখানে তৎক্ষানিক আইসিইউ খালি না থাকায় প্রথমে বাহিরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রাখতে হয়েছে তাদের। পর দিন বেড খালি হওয়ার পর তাদের কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখানে তাদের প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে।
[৭] শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জমজ চার সন্তান পেয়ে সবাই আনন্দিত। শিশু বাবা বলেন, আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। সন্তানদের যেন সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি। তিনি বলেন,আমরা আর্থিক ভাবে খুবই গরিব। প্রথম দিন বাহিরের আইসিইউতে রেখে আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতা নিয়ে ৪৮ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালকের সহযোগিতায় এখন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৮] বৃহস্পতিবার রাত পোনে ১০টায় আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২ জন। বাকি দু'জন চিকিৎসা ধীন রয়েছে। সহকারী পরিচালক আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, মারা যাওয়া শিশুটির ওজন ছিল ৮শ গ্রাম, আজ বৃহস্পতিবার রাতে মারা যাওয়া শিশুটির ওজন ছিল ৯শ গ্রাম
আপনার মতামত লিখুন :