আজিজুল ইসলাম: [২] যশোরের ডিবি পুলিশ গ্রাহকের আমানত ৪১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট শাখা পরিচালক জাহিদসহ ৭ জনকে আটক করেছে। এ সময় নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ২৭টি নকল আমানত জমা বই উদ্ধার করা হয়।
[৩] আটককৃতরা হচ্ছে- বাঘারপাড়া উপজেলার হালদা গ্রামের মৃত জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে এজেন্ট পরিচালক আনোয়ার জাহিদ, তার ভাই মাজেদ মোল্লা ও আব্দুল আজিজ মোল্লা, খাজুরা বাজার এলাকার মাওলানা সোলইমানের জামাই শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের আবু বাক্কার কাজীর ছেলে মুশফিকুর রহমান রতন, সদর উপজেলার বানিয়াবহু পশ্চিমপাড়ার মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে শাহিন হোসেন, শার্শা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা মাঝেরপাড়ার মৃত আয়না ঢালীর ছেলে রজ্জত আলী ও শিকড়ি পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে ইমানুর রহমান।
[৪] ডিবি পুলিশের ওসি সোমেন দাশ জানান, গত মঙ্গলবার রাত দশটা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজার, হালদা, শার্শা উপজেলার বেনাপোল ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে তারা গ্রেপ্তার করেন। এর মধ্যে আনোয়ার জাহিদ, মুশফিকুর রহমান রতন, মাজেদ মোল্লা এবং আব্দুল আজিজ মোল্লা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মুশফিকুর রহমানের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ২৭টি নকল আমানত জমাবই জব্দ করা হয়। গ্রাহকদের এই নকল আমানত জমাবই প্রধান আসামি আনোয়ার জাহিদ তৈরি করেছিলেন।
[৫] তিনি আরও জানান, টাকা আত্মসাতের পর আনোয়ার জাহিদ অবৈধ পথে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকে কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুরে গিয়ে আত্মগোপন করেন। তাকে অবৈধ পথে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগে শাহিন হোসেন, রজ্জত আলী ও ইমানুর রহমানকে করা হয়েছে।
[৬] মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার সাতজনকে বুধবার আদালতে সোপোর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে আনোয়ার জাহিদ ও মুশফিকুর রহমান রতনকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে দেওয়ার আবেদন করা হয়।