চিররঞ্জন সরকার: কঠোর লকডাউন হলে হলে হয়তো জীবন বাঁচে, আবার ঢিলেঢালা লকডাউনে জীবিকা বাঁচে। এখন জীবন না জীবিকা, কোনটা বাঁচানোর চেষ্টা করা হবে? সরকার স্থির কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছে না। জনগণও না। জীবন-জীবিকার এ সংকটে ধনী দেশগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য যে মাত্রায় সহায়তার ব্যবস্থা করতে পেরেছে, বাংলাদেশে তা নেই। সরকারের দিক থেকে পরিকল্পিত উদ্যোগের যেমন অভাব রয়েছে, আবার সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও নিয়ম মেনে চলার ইচ্ছারও ভীষণ রকম ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকারের বাইরে নাগরিক সমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, এনজিও, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোও বর্তমান দুর্যোগে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু সামাল দিতে যেভাবে, যা করার কথা ছিল, যা করা উচিত ছিলো, সেটা সেভাবে করা হয়নি। এই চরম জাতীয় দুর্যোগে সরকারের উচিত প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সব দল-মতের মানুষ, বেসরকারি সংস্থাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠনকে নিয়ে সমন্বিত ত্রাণ, সহায়তা, সচেতনতা, ও চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা। তা না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে হয় না। একদিকে বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। অন্য দিকে কোরবানির ঈদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ওদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। এখনই সুচিন্তিত ও সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে এবং সেই উদ্যোগ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন না করলে কিন্তু সর্বনাশ হয়ে যাবে! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :