সাইফুল ইসলাম: [২] দীঘিটিতে বেশ কয়েকবার প্রভাবশালীদের লোলুপ দৃষ্টি পড়েছিল, এটি ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের ও পাঁয়তারা করে প্রভাবশালী কিছু ভূমিদস্যুরা। স্থানীয়দের তোপের মুখে তা ভেস্তে যায়।
[৩] গত ২০ বছরে ১৫ বার এর অধিক আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিলো চাটখিল বাজারে কিন্তু ফায়ার সার্ভিস দীঘিটি থেকে পানি উত্তোলন করতে না পারায় বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।
[৪] দিঘীটিকে পুনরুদ্ধারের জন্য জনমত গড়ে তোলে স্থানীয়রা। ২২ জুন স্থানীয়দের নিয়ে দীঘিটি পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
[৫] সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ও উপজেলা চেয়ারম্যান¡ জাহাঙ্গীর কোবির সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভাকে নির্দেশ দেন দ্রুত সময়ের মধ্যে দীঘিটি পরিষ্কার করে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহারের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য।
[৬] এরই ধারাবাহিকতায় ২ জুলাই থেকে শুরু হয় ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ। চলতে থাকে দিনরাত দীঘিটি পরিষ্কারের কাজ।
[৭] জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সাবেক অতিরিক্ত সচিব আ ই ম গোলাম কিবরিয়া বলেন আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে চাটখিল বাজারেই, দীঘির পূর্ব পাড়ের কোয়াটারে, তাই আমার দীঘিটি নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে এখানে স্বচ্ছ পানি ছিল, জাতীয় দিবসে সাঁতার প্রতিযোগিতা হতো, আমরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরতাম।
[৮] চাটখিল পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি বলেন এই দীঘিটিতে দীর্ঘদিন থেকে ময়লা আবর্জনা পড়ে থেকে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তাই আমরা সর্বপ্রথম উদ্যোগ নিয়েছি দীঘিটি পরিষ্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করার। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই দীঘিটির চারপাশে গাইডওয়াল দিয়ে চাটখিলের একমাত্র স্বচ্ছ পানির জলাশয় ও দীঘির পাড়ে দৃষ্টিনন্দন পার্ক হিসেবে গড়ে তুলবো।
[৯] চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বলেন এই দিঘিটি হলো চাটখিল উপজেলা পরিষদের। দীঘিটি পুনরুদ্ধার করে একটি স্বচ্ছ জল ধারা এবং তার পাড়ে দৃষ্টিনন্দন একটিভ পার্ক তৈরি করা আমার অনেক দিন স্বপ্ন ছিল।