শিরোনাম
◈ গত অর্থবছরে ব্যয় সংকোচনে সরকারের ৫৬৮৯ কোটি টাকা সাশ্রয় ◈ মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য: প্রধান উপদেষ্টা ◈ যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমাতে চায় সরকার ◈ ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ◈ মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা আসছে আজ ◈ চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দক্ষিণ এশিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ, ভারতকে সতর্ক থাকার আহ্বান তিব্বতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাংয়ের ◈ সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে ◈ ক্যালিফোর্নিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে তামাকের মতো সতর্কবার্তা প্রদর্শনের বিল অনুমোদন ◈ লন্ডনে এক লাখেরও বেশি মানুষের অভিবাসনবিরোধী সমাবেশ, পুলিশের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষে আহত ২৬ কর্মকর্তা ◈ কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তার সামনে স্বামীকে হত্যা

প্রকাশিত : ০৬ জুলাই, ২০২১, ০১:৪২ রাত
আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০২১, ০১:৪২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রভাষ আমিন: আপাতত জনবিচ্ছিন্নতা ছাড়া আমাদের হাতে করোনা ঠেকানোর আর কোনো অস্ত্র নেই

প্রভাষ আমিন: গতবছর আমরা ভাগ্যের অনেক সহায়তা পেয়েছি। সংক্রমণের ভয়াবহতাও কম ছিলো। মৃত্যুও তুলনামূলক কম ছিলো। উন্নত বিশ্বে যখন মৃত্যুর মিছিল, তখন বাংলাদেশে তুলনামূলক কম। ভাগ্যের এই সহায়তা নিয়েও আমাদের আত্মতুষ্টি কম ছিলো না। কিন্তু আজ যখন উন্নত বিশ্ব প্রায় করোনামুক্ত, তখন আমরা এগিয়ে চলেছি এক ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে। প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী উদ্যোগে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে ছিলো। কিন্তু ভারতে করোনার সুনামি আমাদের টিকা পরিকল্পনায় বাধ সাধে। এখন নানা উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। নানামুখী চেষ্টার পরও বাংলাদেশের মাত্র ৪ ভাগ মানুষ টিকা পেয়েছে।

৮০ ভাগ মানুষকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে আমাদের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনা পর্যন্ত তো আমাদের বসে থাকার উপায় নেই। তাই টিকায় প্রতিরোধের আগে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারে সরকারের আন্তরিক উদোগ দেখা যায়নি। নানা সময়ে সাধারণ ছুটি, বিধিনিষেধ, কঠোর বিধিনিষেধ ইত্যাদি নানান চেষ্টা হলেও কোনোটাই কার্যকর ছিলো না। আমরা বারবার সাধারণ মানুষকে দোষ দিয়েছি, সরকার বললেও তারা শোনে না। কিন্তু ১ জুলাই থেকে প্রমাণিত হয়েছে, সরকার বলার মতো করে বললে মানুষ ঠিকই শোনে বা শুনতে বাধ্য হয়। এটা ঠিক লকডাউন যতো কঠোরই হোক, তা করোনা ঠেকাতে পারবে না। লকডাউন দেয়া হয় করোনা বিস্তারের চেইন ভাঙতে, ঢেউয়ের তীব্রতা কমাতে। তারচেয়ে বড় কথা হলো, হাসপাতালের ওপর চাপ কমাতে। আপাতত জনবিচ্ছিন্নতা ছাড়া আমাদের হাতে করোনা ঠেকানোর আর কোনো অস্ত্র নেই। তাই যতো কষ্টই হোক আমাদের লকডাউন মানতে হবে, ঘরে থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

গত দেড় বছরে করোনা ঠেকাতে উদ্যোগের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যতোটা আলোচনায় এসেছে, তারচেয়ে বেশি এসেছে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার জন্য। এই সময়ে দুর্নীতির দায়ে আলোচিত সাহেদ-সাবরিনাসহ অনেককেই কারাগারে যেতে হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারোই কিছু হয়নি। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্থের কোনো সঙ্কট নেই। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলছেন, টাকাই যতোই লাগুক, টিকা আনা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেও বাড়তি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দের অর্থ ব্যয় করার সক্ষমতাও অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেই। করোনাকালেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের অর্থ ফেরত গেছে। করোনা মোকাবেলায় সবাইকে মিলেই কাজ করতে হবে। কিন্তু নেতৃত্ব দিতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই। তাদেরকে আরও দক্ষ হতে হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। সর্বনাশের আশায় বসে থাকা আর বসে বসে লাশ গোনা কোনো কাজের কথা নয়। লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়