কামাল হোসেন : [২] উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত ক্যানাল ঘাট এলাকা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[৩] এতে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ইদ্রিস শেখের পাড়া ও নুরু মন্ডল পাড়ার নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার। এছাড়াও দৌলতদিয়া মহাসড়ক হতে দেবগ্রামগামী এবং নুরু মন্ডল পাড়া হতে ১নং বেপারী পাড়াগামী দুইটি রাস্তাও ধসে পরতে পাড়ে যে কোন সময়।
[৪] স্থানীয়রা বলছেন এ বিষয়ে প্রশাসন জরুরি পদক্ষেপ না নিলে শুুুধুমাত্র নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার নয় চরম ভাঙন ঝুুঁকিতে পড়বে পুরো এলাকা।
[৫] ড্রেজিং এলাকার মাত্র কয়েকশ মিটার দূরেই প্রবাহমার মূল পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে অসংখ্য পরিবার ভাঙন এলাকা হতে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে শুরু করেছে।
[৬] ভুক্তভোগীরা জানান, ক্যানাল ঘাট এলাকায় অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন অজুুুুহাতে সংঘবদ্ধ বালু ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য আফজাল হোসেন, লোকমান হোসেন ও মুক্তার শেখ ৩ টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। মূল পদ্মায় ভাঙন শুরু হওয়ায় স্থানীয়রা বারবার নিষেধ করলেও ড্রেজার মালিকরা তার কর্ণপাত করছে না।
[৭] ড্রেজার মালিক আফজাল হোসেন দাবি করে বলেন, প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই আমি একটা ভূমিহীন পরিবারের বাড়ি ভরাট করার জন্য কিছু বালি তুলছি। এ ক্ষেত্রে জমির মালিকদেরও কোন আপত্তি নেই।
[৮] এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকেই বালু উত্তোলনের অনুমতি দেইনি। ওরা জনগনকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলে থাকে। ক্যানাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জমির মালিকরা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। শীঘ্রই সেখানে অভিযান চালানো হবে।