শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৫:৪০ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৫:৪০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে টিনএজদের মধ্যে ক্ষুধামন্দা ৩শ শতাংশ বৃদ্ধি

রাশিদ রিয়াজ : কোভিড মহামারীর কারণে স্কুলে যেতে না পারা ও সামাজিক দূরত্বের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে টিনএজদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষুধামন্দার সৃষ্টি হয়েছে। ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সি শিশু কিশোরদের মধ্যে এধরনের ক্ষুধামন্দা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের অনেককে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। চিকিৎসকরা বলছেন কোভিড মহামারীর আগে হাসপাতালে শিশু কিশোররা এলেও এত ব্যাপক হারে কখনো আসেনি। ক্ষুধামন্দার দুটি দিক শিশু কিশোরদের মধ্যে লক্ষ্যণীয়, তা হচ্ছে খেতে না পারা এবং খেলেও তা শেষ না করে উঠে পড়া। এরফলে শিশু কিশোররা অন্যান্য মানসিক সমস্যায় পড়ছে। ডেইলি মেইল

বিশেষজ্ঞরা বলছেন টানা এক বছরের বেশি স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের ওপর এধরনের প্রভাব পড়েছে। তারা সামাজিক দিক থেকেও এক ঘরে হয়ে পড়েছে। যা যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে গবেষকরা বলছেন সামাজিক দূরত্বর নেতিবাচক প্রভাবেও শিশুদের ক্ষুধামন্দার আরেক কারণ। বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের ক্ষুধামন্দা কর্মসূচির পরিচালক ড. ট্রেসি রিচমন্ড বলেন যেসব শিশু কিশোররা ক্ষুধামন্দা নিয়ে আমাদের কাছে আসছে তারা সত্যিই অসুস্থ। এটিকে আমরা দ্বিতীয় মহামারী হিসেবে বিবেচনা করছি। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি দরকার। এবং ক্ষুধামন্দা সে কারণেই হচ্ছে। জার্নাল অব এ্যাডোলেসেন্ট হেলথ’এ রিচমন্ড একটি পরিসংখ্যান ফলাফল জমা দেন যেখানে তিনি বলেছেন মহামারীর পূেেবর চেয়ে শিশু কিশোররা অন্তত ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ক্ষুধামন্দার লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে আসছে। এমনকি কোথাও কোথাও এটি ১০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো হাসপাতালে সপ্তাহে ৬ থেকে ২৩ জন শিশু কিশোর এধরনের ক্ষুধামন্দা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হচ্ছে।

সমীক্ষায় রিচমন্ড বলেছেন স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু কিশোররা খেলাধূলায় অংশ নিতে পারছে না। তাদের মধ্যে সামাজিক মেলামেশার অভাবে তীব্র মানসিক চাপ বাড়ছে। কাইজার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন বলছে ২২ শতাংশ অভিভাবক যাদের শিশুদের বয়স ৫ থেকে ২১ বছর এবং তারা বলছেন তাদের ছেলেমেয়েদের গত বছর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। তবে মহামারীর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশু কিশোরদের ওপর ঠিক কতটা মানসিক চাপ পড়েছে তা এখনো বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ শঙ্কা করছেন গত বছর থেকে শিশু কিশোরদের এ সমস্যা একটি প্রজন্মের অপূরণীয় ক্ষতি করতে পারে। ইটিং রিকভারি সেন্টারের চিফ মেডিকেল এ্যান্ড ক্লিনিক্যাল অফিসার এ্যানি ম্যারি ও’মেলিয়া বলছেন মহামারী পরিস্থিতি শিশু কিশোরদের জীবনের পুরোটাই বদলে দিয়েছে। তারা পূর্ণ অনিশ্চয়তায় রয়েছে যা তাদের ভয় ও একঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছে। এবং এ কারণে তাদের মনোজগতের বিকাশে স্বাভাবিক বৃদ্ধি কঠিন করে তুলেছে। ক্ষুধামন্দা এসব শিশু কিশোরদের জীবনে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে যাতে তারা তাদের নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়