শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৫:৩৯ বিকাল
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০৮:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঢাকার অর্থনৈতিক উন্নতি ও ভারতীয় গণমাধ্যমের বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গি

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশি অর্থনীতিতে চীনা সম্পৃক্ততার সমালোচনা করে আসছেন ভারতের পর্যবেক্ষকরা। সমালোকরা মনে করেন ঢাকার নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করতে পারে বেইজিং। ২০২০ সালে এসে এ ধরণের কথা আরও উচ্চস্বরে বলা হতে থাকে। সেসময় নয়াদিল্লি বেইজিং এর বিনিয়োগ ঠেকাতে শুরু করে, দুদেশের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে। স্ক্রল

[৩] এসব ঘটনা নতুন ধরণের মিডিয়া চক্রের জন্ম দেয়। যেখানে ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে মূল্যায়ন করা হতে থাকে। এটি একটি বাণিজ্য সুবিধা প্রদানকে ঘিরে আরও বেড়ে যায়। গালওয়ান সংঘাতের পরপর ১৯ জুন চীন বাংলাদেশকে বেশকিছু বাণিজ্য সুবিধা দেয়। অন্য উন্নয়নশীল অর্থনীতিকে যেসব রপ্তানি সুবিধা দেওয়া হয় এই কনসেশন ছিলো সেগুলোরই অনুরূপ। এটি বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভুমিকা রাখতে পারে। বাড়বে রপ্তানি খাতে বিনিয়োগও।

[৪] বাংলাদেশ বেশ অনেক বছর এই ধরণের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিক হয়নি। করোনা অতিমারির কারণে রপ্তানি খাতে বড় ধাক্কা খাওয়ার শঙ্কা জাগে। ঢাকা এজন্য বেশি মূল্যের রপ্তানি বাজারের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কারণ ২০২৪ সালের মধ্যেই দেশটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে আগ্রহী।

[৫] কিন্তু ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে অর্থনীতির চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় সামরিক সঙ্কট। সেসময় লাদাখে বড় ধরণের সংঘাতের শঙ্কাময় দিন কাটাচ্ছিল দুই দেশের বাহিনীই। তারা সেসময় মনে করেছে কৌশলগত সুবিধা পেতেই ঢাকাকে সুবিধা দিচ্ছে বেইজিং। এই ধরণের রিপোর্টিং ভারতে বিশাল আলোচনার জন্ম দেয়, যা এখনও চলমান আছে।

[৬] এরপর থেকেই সাধারণ অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং নিরাপত্তা হুমকির মধ্যখানে থাকা সীমারেখা ঝাপসা হতে শুরু করে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো বাংলাদেশে কাজ করা ইংরেজি সংবাদপত্রগুলোর এই সম্পদই ছিলো না তারা এই এই স্রোতে গা ভাসিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে।

[৭] তবে বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা এই বাণিজ্য সুবিধার ব্যাপারে অবশ্য ইতিবাচক মনোভাবই দেখাচ্ছেন। অতিমারির পর রপ্তানিকারকেরা চীন থেকে শক্ত নিয়মের মুখোমুখি হলে তা সমস্যাই তৈরি করতো। তবে বিদেশি সাংবাদিকেরা মনে করেন, বাংলাদেশি রপ্তানিকারকেরা চীনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ চীনের বাণিজ্য ঘটতির ফ্াদে পড়েছে। এ কারণে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে বাংলাদেশের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আছে সেটিই নজরে আসছে না।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়