কামাল হোসেন : [২] কঠোর লকডাউন মানাতে লকডাউনের তৃতীয় দিনেও শনিবার (৩ জুলাই) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে কাজ করছে। এ ছাড়াও ডিসি-এসপির নির্দেশে জেলার ৫টি উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও থানা ইনচার্জরাও (ওসি) তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
[৩] শনিবার (৩ জুলাই) ১২টার দিকে সরেজমিন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জেলা ট্রাফিক পুলিশ, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ফেরিঘাট এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে জরুরী সেবার আওতায় এ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী, পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধে টহল দিচ্ছে।
[৪] এছাড়াও সকাল থেকেই জরুরীসেবার ও কাঁচাপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান পাট বন্ধ করাসহ বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসা বন্ধ করতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে টহল দিতে দেখা গেছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ সদস্যদের।
[৫] বেলা ১টার দিকে কঠোর লকডাউনের সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আসেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলশাদ বেগম ও পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান। এসময় ঘাট এলাকার লকডাউন পরিস্থিতি দেখে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
[৬] এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরিফ উজ জামান (সদর সার্কেল), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান (হেড কোয়াটার), গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক খান মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :