রিয়াজুর রহমান : [২] প্রতিদিন বাড়তে থাকা নিলামযোগ্য কনটেইনারের সংখ্যা কমাতে প্রতি মাসে অন্তত দুটি নিলাম পরিচালনা করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। আবার কোন মাসে তিনটি নিলামও আহ্বান হয় বলে জানিয়েছেন নিলাম কার্যক্রমে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
[৩] চট্টগ্রাম বন্দরে জমে থাকা নিলামযোগ্য কনটেইনারের চাপ কমাতে কঠোর লকডাউনেও চালু রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এসব নিলাম কার্যক্রম।
[৪] করোনা মাহামারী বেড়ে যাওয়ায় চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনের মধ্যেই জুলাই মাসে আহ্বান হচ্ছে তিনটি নিলাম। যার দুটি হবে সাধারণ নিলাম এবং একটি হবে ই-অকশন। সাধারণ নিলামের দিনক্ষণ ঠিক হলেও ই-অকশনের তারিখ ৪ জুলাই (রবিবার) নির্ধারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস নিলাম শাখা সূত্র।
[৫] সাধারণ নিলামের মধ্যে প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুলাই এবং দ্বিতীয়টি হবে ২৯ জুলাই।
[৬] জানা যায়, ৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য চলতি বছরের ১২ নম্বর নিলামে রাখা হচ্ছে ৫৬টি লট। এ নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হবে কাল (রবিবার) থেকে। বিক্রি চলবে আগামী ৭ জুলাই অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত।
[৭] নিলামের ক্যাটালগ সংগ্রহ করা যাবে নগরীর মাঝির ঘাটের স্ট্যান্ড রোডে অবস্থিত মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এর প্রধান কার্যালয় থেকে, বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীতে কাস্টমস শেডের নিলাম শাখা থেকে এবং ঢাকার ৮০, মতিঝিল ঠিকানা থেকে। পরদিন ৮ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে এক যোগে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
[৮] নিলাম প্রসঙ্গে সরকারি নিলাম পরিচালনাকরী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের ম্যানেজার (নিলাম) মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রতি মাসেই অন্তত দুটি নিলাম আহ্বান হয়। কোন কোন মাসে তিনটিও আহ্বান হয়। এর মধ্যেই আবার গত কয়েক মাস ধরে ২৯৮ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম চলেছে। মূলত বন্দরের ভেতরে চাপ কমাতে অনেক কাজ একসাথে করতে হচ্ছে কাস্টমস এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যেই আবার কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিলাম কার্যক্রম বন্ধ রাখা হচ্ছে না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ মাসে সাধারণ নিলাম দুটি ও একটি ই-অকশন রাখা হয়েছে। যদিও লকডাউনে পরিবহন সংকটের কারণে কাস্টমস কর্মকর্তা, নিলাম পরিচালনাকরী কর্মকর্তা ও নিলামে অংশগ্রহণকারীদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে, তবুও বন্দরের বৃহত্তর স্বার্থে নিলাম কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে।