মঈন উদ্দীন: [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যে সারা দেশের মত রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে সাত দিনের ‘কঠোর’ লকডাউনের বিধিনিষেধ।
[৩] বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ রাজশাহীর রাজপথ ফাঁকা। যদিও গত রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়।
[৪] সরকারি ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, পণ্যবাহী বাহন ছাড়া কিছু রিকশা-রিকশাভ্যান চলছে বিভিন্ন রাস্তায়। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেক পোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সকালে নগরীতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহলও দেখা গেছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি দুই প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য ও চার প্লাটুন বিজিবি মাটে টহলে রয়েছে।
[৫] বৃষ্টির মধ্যে টহল দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশের মত রাজশাহীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে রাখা হয়েছে।
[৬] কঠোর লকডাউনে রাজশাহীর অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ রাখা হয়েছে। জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। জরুরী প্রয়োজনেও রাস্তায় বেরিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে মানুষকে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে যে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে, সে বিষয়ে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছিল কাল থেকে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ