সমীরণ রায়: [২] বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সীমান্তে ঘেঁষে মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করায় বাংলাদেশের ভেতরে মিয়ানমার ও ভারতের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে। ফলে দেশে অপরাধ ও নাশকতার আশঙ্কা বিরাজ করছে।
[৩] তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারি, মাদক বেচাকেনা, অর্থপাচার, মানবপাচার এমনকি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অন্যতম মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্ক। বিশেষ করে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিলে মোবাইল নেটওয়ার্কের অপব্যবহারের বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এ মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে তারা জনসভা করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে। বিভিন্ন মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের লক্ষ্য করা যায়, ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় ৮-৯ লাখ সিম বাংলাদেশ মোবাইল অপারেটরদের। তার মধ্যে আরও ৩-৪ লাখ সিম মিয়ানমারের মোবাইল কোম্পানি এমটিপির।
[৪] তিনি বলেন, আমরা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের দাবি জানালে, সরকার ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারে থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয়। ঠিক এরপর থেকেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্ক বেশি করে ব্যবহার করতে শুরু করে।