রিয়াজুর রহমান রিয়াজ: [২] চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: শহিদুল আলম শহীদের উপর সুপরিকল্পিত হামলার চেষ্টার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
[৩] মঙ্গলবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খান বলেন, ২৮ জুন সোমবার রাত আনুমানিক ১০ টায় ছদ্মবেশী আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কিছু কুচক্রী মহল শহিদুল আলম শহিদের উপর রাতের অন্ধকারে যে হামলা চালিয়েছে তা কোন ভাবেই শুভনীয় নয়। সে সার্বক্ষণিক রাজপথের একজন পরীক্ষিত সৈনিক, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রভাগের পরীক্ষিত ও পরিশ্রমী সৈনিক, আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
[৪] বিবৃতিতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিএনপির এ শীর্ষ দুই নেতা আরো বলেন- শহীদের উপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হামলাকারীরা দলে উৎপেতে থাকা ছদ্মবেশী আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী কুচক্রী মহল, দলের এই দুর্দিনে যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের উপর টার্গেট করে দলে ছদ্মবেশী ষড়যন্ত্রকারীরা এ হামলা করে। ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রপুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন কিংবা দলীয় কোন কর্মকান্ডে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুব শীশ্রই দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
[৫] এদিকে নিজের উপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদ প্রতিবেদক'কে বলেন - আমি সুফিয়ান ভাইয়ের ( দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক) বাসা থেকে ফেরার পথে মৌলভী পুকুর পাড় ওখানে বোয়ালখালীর জুনায়েদ নামের ছেলে ও পটিয়ার রবিউল আমার উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যও মোবাইল চোর বলে ডাকাডাকি করলে উপস্হিত জনগণেকে আমার সাংগঠনিক পরিচয় দেই। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।