সুজিৎ নন্দী: [২] ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করলে আমার প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পাওনা বন্ধ হয়ে যাবে, সংসার পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
[৩] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের মোট ৮টি অ্যাকাউন্টের ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা জব্দের যে নির্দেশ দিয়েছে দুদক, সেটি বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্ররোচনায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, দুদক তদন্ত করলে আমার ও আমার পরিবারের কোনও আপত্তি নেই। আমি অ্যাকাউন্টগুলো চালু করার দাবি জানাচ্ছি।
[৪] তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আমাকে এবং আমার পরিবারকে কোনও ধরনের নোটিশ না করে, কোনোরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
[৫] মেয়র তাপসকে উদ্দেশ করে সাঈদ খোকন বলেন, কতটুকু ভোটে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন তা এই শহরের মানুষ জানে। যাই হোক, ক্ষমতায় আছেন মানুষের কাজ করুন। ঢাকার মরা লাশের ওপর পর্যন্ত ট্যাক্স বসিয়ে দিয়েছেন। আপনি কীভাবে ঢাকাবাসীর কাছ থেকে ভালোবাসা আশা করেন। আপনার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য কি আর কোনও মানুষ পাননি। আইনি মোকাবিলা করবো, সঙ্গে ঢাকাবাসীকে নিয়ে আরেকবার সংগ্রাম হবে।
[৬] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সাঈদ খোকন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) নির্দেশ প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
[৭] সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের আদেশ বলে আমার এবং আমার পরিবারের ৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা রাখা আছে।
[৮] তিনি বলেন, এমন কর্মকাণ্ডে আমার এবং আমার পরিবারের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র তাপস তার নগর পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে প্রায়ই আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানিমূলক ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছে।
[৯] সাবেক মেয়র বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকলে আমার এবং আমার পরিবারের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। সংসার পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়বে। আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অনুরোধ করবো, জব্দকৃত অ্যাকাউন্ট সচল করে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পরিচালনার সুযোগ দিন।
[১০] তিনি বলেন, আমার পরিবার প্রায় এক শতাব্দী ধরে এই শহরের সেবা করে আসছে। ঢাকার শেষ সরদার মাজেদ সরকারের মেয়ে আমার মা ফাতেমা হানিফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে হয়রানি করা হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয়। আমার আদরের ছোট বোনকে পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হলো না। আরে ভাই, এই শহরের কী হচ্ছে মানুষ কি তা দেখে না ? কী দিয়ে কী করতে চান, শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান? মানুষ কিন্তু এ ধরনের অপমান কখনোই মেনে নেবে না।
আপনার মতামত লিখুন :