স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ব্রাজিলের গর্ব হিসেবে ধরা হয় মারাকানা স্টেডিয়াম। ঐতিহ্যবাহীও বটে। কত ইতিহাস জড়িত। কিন্তু সেই ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর থেকে ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে অর্থনৈতিক উন্নতি হলেও ফুটবল মাঠ সেভাবে পরিচর্চা হয় না। অবশেষে ব্যাপক সমালোচনার মুখে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কনমেবল। আগামী ১০ জুলাই বিখ্যাত মারাকানায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।
[৩] এক বিবৃতিতে এই মাঠ সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনা ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়া কলম্বিয়ার জায়গায় টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র এক সপ্তাহ আগে কোপা আমেরিকার আয়োজক স্বত্ব লাভ করে ব্রাজিল।
[৪] যদিও করোনা মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ব্রাজিল আছে দ্বিতীয় স্থানে। এমনিতেই করোনা মহামারির কারণে ব্রাজিলের অবস্থা বিপর্যস্ত। এ কারণে কোপা আমেরিকার আয়োজন হওয়ায় দেশটিতে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
[৫] এরপর আবার ভেন্যুগুলোর অবস্থা বেশ জরাজীর্ণ। বিশেষ করে মারাকানার অবস্থা বেশ খারাপ। মারাকানার বেহাল দশার কারণে রিওর নিল্টন সান্তোষ স্টেডিয়ামে ৭টি ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন আয়োজকরা। কিন্তু এই মাঠের অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কুইয়াবার অ্যারেনা পান্তানালও গ্রুপ পর্বের বাড়তি একটি ম্যাচের আয়োজন করবে। কিন্তু এটাও অব্যবহৃত ও দেবে যাওয়া মাঠ।
[৬] ব্রাজিলের মাঠ নিয়ে সমালোচনায় লিপ্ত নেইমার, মেসি থেকে বড় বড় ফুটবল তারকারাও। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ তিতেও।
[৭] ২০১৬ সালের অলিম্পিকে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত নিল্টন সান্তোস এর মাঠটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে স্থানীয় দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব বোতাফোগো। গত ১৭ জুন পেরুর বিপক্ষে ৪-০ গোলে জেতার পর ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড নেইমার ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, দয়া করে মাঠের গর্ত ঠিক করুন।
[৮] পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালেসে বলেন, মাঠের অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। একটি গোলকিকও নেওয়া যায় না। বল দেবে যায়। এর তিন দিন আগে মেসি বলেছিলেন, এই মাঠ খুব একটা সহযোগিতা করছে না। ওই স্টেডিয়ামে চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, এটি অন্য কোনো খেলার মাঠ ছিল। ফুটবলের নয়। - নিউজ১৮
আপনার মতামত লিখুন :