আসিফ আকবর: গত কয়েকদিন ঊর্ধ্বশ্বাসে কাজ করেছি। প্রত্যেকটা দিন প্রচুর বিশ্রাম আর মনোসংযোগ সেট করতে হয়েছে। গত ঈদের অভিজ্ঞতা থেকে এবার আগে-ভাগেই লকডাউনের ভয় মাথায় রেখে রেকর্ডিং শুরু করেছি। শুটিং স্লট এখনো বাকি। সোমবার থেকে শাটডাউনের আওয়াজ পেয়ে সমস্ত ঈদ প্রজেকশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো প্রায়। নতুন সিদ্ধান্তে একটু হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছি। অন্তত চারটা ওয়ার্কিং ডে হাতে পেয়েছি, যদিও এর মধ্যে ঈদের সব কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না।
আমাদের সম্মানিত যন্ত্রশিল্পীদের কোনো প্রকার রাইট রেভিনিউ পাওয়ার সুযোগ নেই। গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের জন্য রেকর্ডিং একমাত্র আয়ের পথ। স্টেজ শো আমাদের মূল জীবিকা হলেও এখন পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। রেকর্ডিংয়ে আবার বেশির ভাগ শিল্পীই ব্যস্ত নয়। তবে একটা কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিলো ইন্ডাস্ট্রিতে। নেক্সট শাটডাউনে মিউজিকের সব শ্রেণির লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। ঈদ তো দূরের কথা, বাসা ভাড়ার টাকা জোগাড় করা মুশকিল হয়ে যাবে অনেকের। এখানে কেউ কেউ স্বচ্ছল, সবাই নয়। একটা রেকর্ডিংয়ে সর্বোচ্চ তিনজন থাকলেই কাজ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্ব আর করোনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল আইন মেনেই আমরা কাজ করতে চাই।
আমাদের কোনো সরকারি প্রণোদনার দরকার নেই। অন্তত রেকর্ডিং করার সুযোগ পেলে মিউজিশিয়ানদের একটা বড় অংশ সারভাইভ করতে পারবেন এই আপদকালীন ক্রাইসিসে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকলো, নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করে আমরা কাজ করতে চাই। আমাদের এই সুযোগটা দেওয়া হোক। আমাদের কোনো কার্যকর সমিতি বা একতা না থাকার কারণে ফেসবুকের মাধ্যমে আকাশের ঠিকানায় চিঠি পাঠালাম। রাষ্ট্রীয় যেকোনো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রেখে আমাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো। সংগীতশিল্পী। ফেসবুক থেকে