বাশার নূরু : [২] শুক্রবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ১৯ দশমিক ১ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের পর্ষদ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা।

[৩] বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, আমাদের সামগ্রিক ভবিষ্যতের জন্য উচ্চ শিক্ষা জরুরি, এটির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণে শ্রমশক্তি তৈরিতে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে।

[৪] তিনি আরও বলেন, এই অর্থায়ন উচ্চশিক্ষার মান ও প্রাসঙ্গিকতা বাড়াতে ও বিশেষত নারীদের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। একই সাথে কোভিড-১৯ অতিমারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা নিশ্চিত করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভার্চ্যুয়াল গতিশীলতা তৈরিতে’ দক্ষিণ এশিয়া উচ্চশিক্ষা পোর্টাল বাংলাদেশ থেকে চালু হবে, যার মাধ্যমে নিবন্ধিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিজ দেশের বাইরে অন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হবে।

[৫] ‘হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের টিম লিডার মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি দক্ষিণ এশিয়ায় মানসম্মত শিক্ষায় অনেক অবদান রাখবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো উপকৃত হবে।

[৬] প্রকল্পের ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে যার মেয়াদ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছর। বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বাধিক আইডিএ গ্রহীতা দেশ, যার পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি।