লুৎফর রহমান হিমেল: যেখানে খুব সহজেই আর্থিক লাভালাভ পাওয়া যায় সেসব জায়গায় আমি যাই না। টাকাকড়ি কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয়। এটাই বিশ্বাস করি আমি। এ কারণে লটারি টিকিট পর্যন্ত আমি কিনি না। তারপরও একবার ভুল করেছিলাম। সেটা ২০১০ সালে। প্রথম আলো ছেড়ে দেওয়ার সময়। পত্রিকাটি থেকে গ্রাচুইটিসহ যে টাকা পেয়েছিলাম, তার মধ্যে দুই লাখ টাকা জলে ফেলেছিলাম একজনের বারবার পরামর্শে। আসলে সেটা জলে ফেলা বললে কমই বলা হবে, ফেলেছিলাম আসলে সাগরে।
শেয়ারবাজারে। ফলে বছর ঘুরতে দুই লাখ টাকার পেয়েছিলাম ২০ হাজার টাকা। বাকি টাকা উধাও। কিছুদিন ধরে ভাবছি ই-ভ্যালীর কথা। হাজার হাজার কোটি টাকা হয়তো তারা এর মধ্যে জড়ো করে ফেলেছে। তারা কখন আবার ব্যবসা গুটিয়ে চলে যায়, কে বলতে পারে? এ দেশে সবই সম্ভব। রিস্কি এক উপত্যকায় এখন অবস্থান করছে ই-ভ্যালী। আমার একমাত্র ভায়রা ৪০ হাজার টাকার টিভি কিনেছে ২২ হাজারে। আরও নানা জিনিস কিনেছে। সে নাকি আরও কী কী অর্ডার করে রাখছে, সেই টাকার পরিমাণ ৫০-৬০ হাজার তো হবেই! প্রতিবেশী খালাতো ভাইয়ের কথা শুনলাম, সে নিয়মিতই ই-ভ্যালীর উপত্যকায় যাতায়াত করে।
সে নাকি কয়েক লাখ টাকার অর্ডার করে রেখেছে। ভাবলাম, দরকার নেই আমার ওসবের। যা দরকার নগদ টাকায় কিনবো। কেউ আমাকে লোভের ফাঁদে ফেলতে পারবে না। যতো ঝড়-তুফান-টর্নেডোর অফারই দিক না কেন। এ-ই যখন আমার পণ, গত পরশু গিন্নী বললো, সে নাকি কোন অনলাইনে দারুণ এক অফার পেয়েছে; টাকাও দিয়ে দিয়েছে অ্যাডভান্স। বললাম, কোন অফার, কোন অনলাইনে? বললো, ই-ভ্যালী! ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :