ইমরুল শাহেদ: করোনা মহামারির কারণে পেশাগত কাজ থেকে দূরে থাকলেও অবকাশ যাপনের জন্য সপরিবারে পূর্ণিমা যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকেই অভিনয়ের ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়েছেন তিনি। মাঝে ভাইরাসে আক্রান্তও হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে ‘গাঙচিল’ নামে একটি ছবির শুটিং করেছেন। এরপর একটি টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ করেননি। পূর্ণিমা জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঈদের আগেই ফিরে আসবেন। বলেন, ‘ভিসা লাগানো আছে। মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
এজন্য ভাবছি ১০ বা ১২ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে আসব। ফিরব ঈদের আগেই। এখানে আমার দু’একটা কাজ এখনো বাকি আছে, সে কারণে তারিখ পিছাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমি কোনো কাজ করছি না। তবে ঈদের পর থেকে আবার নিয়মিত করব।’ গত ঈদে তার অভিনীত সাগর জাহান পরিচালিত একটি নাটক টিভিতে প্রচার হয়। কথা ছিল কোরবানির ঈদেও একই পরিচালকের আরও একটি নাটকে অভিনয় করবেন।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এ নাটকেও অভিনয় করছেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রায় দুই বছর ধরে কোথাও ঘুরতে যাইনি। ভাবছি দেশের বাইরে গিয়ে ঘুরে এলে প্রশান্তি পাব। এ কারণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদের আগে হয়তো ফিরেও আসব। তাই আগামী ঈদের কোনো নতুন কাজে আমাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ পূর্ণিমা যখন এই রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন কথা ভেঙ্গে ভেঙ্গে আসছিল। জানালেন, ঠাÐায় পেয়েছে তাকে।
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফআই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী ‘লাল দরিয়া’, মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী ‘মনের মাঝে তুমি’, চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘মেঘের পরে মেঘ’ ও নাট্যধর্মী ‘সুভা’, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী ‘হৃদয়ের কথা’ ও ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’।