মাসুদ আলম: [২] নিহত আবু বক্কর সিদ্দিক রুবেলের স্ত্রী লাবনী আক্তার বলেন, শেরেবাংলা নগর থানার শুক্রাবাদ ৬২/১ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তিনি। ১০ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রুবেল ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রুবেল ১৭ নং ওয়ার্ডে সাব কন্ট্রাক্টে সিটি করপোরেশনের ময়লার লাইন পরিচালনা করতেন। গত ৯ জুন তার কাছ থেকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতা লাইনটি ছিনিয়ে নেয়। যদিও রুবেলের সঙ্গে ১ বছরের চুক্তি ছিল। ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লাইনটি নিয়েছিলেন রুবেল। লাইন ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকেই তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সময় মাথার চুল একা একাই ছিঁড়তেন।
[৩] নিহতের ছোট ভাই ওসমান গনি বলেন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সজীব ও সাধারণ সম্পাদক শিশির দুয়ারী এবং কলাবাগান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শিমুল তার লাইনটি নিয়ে নেয়। ময়লার লাইন ছেড়ে দেওয়ার জন্য রুবেলকে বিভিন্ন সময় হুমকি দেন তারা। এরপর থেকে তিনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে। রুবেলের বিপুল পরিমাণ টাকা ঋণ ছিল। এসব নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।
[৪] শেরেবাংলা থানার এসআই আল-মামুন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেন তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।