শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৯ জুন, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ১৯ জুন, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] পুঠিয়ায় ধানক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা

আবু হাসাদ:[২] পুঠিয়া উপজেলা খাদ্য গুদামে গত বছরের ন্যায় চলতি অর্থ বছরেও ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছেন সরকারী দরের চেয়ে বর্তমান বাজারে ধানের দাম একটু বেশী। অপরদিকে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় ধানের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। যার কারণে বরাদ্দকৃত ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি।

[৩] তবে স্থানীয় চাষিরা বলছেন, বিগত সময়ে খোলা বাজারে ধানের দাম কম ছিল। সে সময় খাদ্য গুদাম নানা অজুহাত দেখিয়ে কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করেনি। বরং একটি সিন্ডিকেট চক্রের মাধ্যমে নিজেরাই তা সরবরাহ করেছেন। এখন বাজারে ধানের দাম বেশী তাই ওই চক্রটি গত এক বছর থেকে গুদামে ধান দিচ্ছেন না।

[৪] উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার নির্ধারিত প্রতিমণ এক হাজার ৪০ টাকা দরে মোট ৩৪৮ মে.টন ধান ক্রয়ের নির্দেশনা আসে। সে মোতাবেক গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান ক্রয়ের সময় সীমা নিধারণ করা ছিল। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কৃষকরা খাদ্য গুদাম একমণ ধানও বিক্রয় করতে আসেনি।

[৫] অপরদিকে চলতি মৌসুমে এক হাজার ৮০ টাকা দরে ৩৩০ মে.টন ধান ক্রয়ের নির্দেশনা আসে। তবে গম ক্রয়ের লক্ষমাত্রা অর্জিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কৃষক গুদামে ধান বিক্রি করতে আসেননি।আসাদুল হক নামের একজন স্থানীয় চাষি বলেন, বর্তমানে স্থানীয় খোলা বাজারে প্রতিমণ ধান প্রকার ভেদে এক হাজার ১৫০ থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

[৬] অপরদিকে খাদ্য গুদাম প্রতিমণ ধান কিনছেন এক হাজার ৮০ টাকা দরে। তার ওপর পরিবহণ খরচ, গুদাম কর্মচারী ও লেবারদের বকস্সি দিয়ে প্রতিমণে অতিরিক্ত আরো খরচ হয়। এরপর খাদ্য কর্মকর্তা আর্দ্রতার অযুহাত দেখিয়ে চাষিদের অনেক রকম হয়রানি করেন। তবে গত বছরের মত এবারও চাষিরা বাজারে ধানের দাম ভালো পাচ্ছেন। তাই তারা খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে আগ্রহী নয়।

[৭] এদিকে এবার উপজেলায় খাদ্য গুদামের চাহিদা অনুসারে ৫১৬ মে.টন গম দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রকৃত কৃষক এক টন গমও দেয়নি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার সহায়তায় একটি সিন্ডিকেট চক্র চাষিদের কৃষিকার্ড ব্যবহার করে আমদানিকৃত গম সরবরাহ করেছেন। অপরদিকে গত বছর থেকে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি। যার কারণে ওই চক্রটি গতবার থেকে এখনো পর্যন্ত একমণ ধান সরবরাহ করেনি। এর ফলে এবারও খাদ্য গুদামের ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্র অর্জিত হবে না।

[৮] এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী বলেন, কৃষক খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি পাচ্ছেন, তাই খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে আসছেন না। তবে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় ধানের আর্দ্রতা অনেক কমে যায়। অপরদিকে এবার ধান ক্রয়ে এখনো দুই মাসের বেশি সময় আছে। এর মধ্যে যদি চাষিরা গুদামে ধান নিয়ে আসেন তবে আমরা অবশ্যই তা কিনে নিব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়