লিহান লিমা: [২] ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের পণ্য রপ্তানির শীর্ষ ৫ বাজার যুক্তরাষ্ট্র, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ ও হংকং। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি হিসেবে এরআগে ৪র্থস্থানে থাকা হংকংকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ। হিন্দুস্তান টাইমস
[৩]ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি-মার্চ মাসে বাংলাদেশে ৩.১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত, এতে রপ্তানি বার্ষিক ভিত্তিতে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে একই সময়ে যথাক্রমে ১৫.৪১ বিলিয়ন, ৫.৯২ বিলিয়ন এবং ৫.৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত।
[৪]ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস (এফআইইও) এর মহাপরিচালক এবং সিইও সাহাই বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধির কারণ মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পণ্য চলাচলে বাধা তুলনামূলকভাবে কম। তবে মূলত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং কৃষি সামগ্রীর চাহিদা রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।’
[৫]ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, গবেষক ও বিশ্লেষক ডেভিড সিনেট বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে পেট্রোলিয়াম ও কৃষি পণ্য। এছাড়া বাংলাদেশ চালের আমদানি শুল্ক হ্রাস (৬২.২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ) করায়ও রপ্তানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে সড়ক পথের পরিবর্তে রেলপথে পণ্য চলাচল যাতায়াত ব্যয় হ্রাসসহ বাণিজ্যকে সহজতর করেছে।’
[৬]নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতের কৃষি পণ্য রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়ার (১০২.৪২ শতাংশ) পর কৃষি পণ্য রপ্তানির গন্তব্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (৯৫.৯৩ শতাংশ)।’
[৭]এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেন, মহামারীতে রেল ও নদীপথ উন্মুক্ত রাখার দিকে মনোনিবেশ করায় বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য অনুকূলে ছিলো। উভয় স্থানেই ভূমি শুল্ক স্টেশন ও সীমান্তের অন্যান্য সুবিধা উন্নীত করাসহ বৃহত্তর সমন্বয় করা হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত রাখার বিষয়টি নিয়ে সচেতনভাবে প্রচেষ্টা করা হয়েছে। গত এক দশকের আস্থাজনক সম্পর্কের কারণে সীমান্তের বাধাগুলো কাটানো, যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজীকরণের দিকে আরো মনোনিবেশ করা হয়েছে।