আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]ভারতে সরকারি ঘোষণার চেয়ে মৃত্যু ৬ গুণ বেশি, ইকোনমিস্টের গবেষণা। [৩] করোনায় মারা গেছেন অথচ মৃত ব্যক্তি হিসেবে শনাক্ত হননি, এমন ঘটনার অধিকাংশ ঘটেছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ ধনী দেশে মৃতের সংখ্যা সরকারঘোষিত সংখ্যার চেয়ে ১ দশমিক ১৭ গুণ বেশি। সাব-সাহারা অঞ্চলে মৃতের এই আনুমানিক হার ১৪ গুণ বেশি। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার চিত্র এই মডেলের পরিসংখ্যানে তুলনামূলকভাবে অনেক কম দৃশ্যমান হয়েছে।
[৪] যদি দেখা যায় ব্যাপকসংখ্যক পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসছে, তবে ন্যায্যভাবে এটা ধরে নেওয়া যায়, আরও অনেক পজিটিভ ব্যক্তি আছেন, যারা পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছেন। কেননা, যারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাসপাতালে আসছেন, শুধু তাদেরই এ পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে।
[৫] কিছু স্থানে বিশেষ ধরনের জরিপ চালানো হয়েছে। কতজনের দেহে শনাক্তযোগ্য সার্স-কোভ-২ অ্যান্টিবডি রয়েছে, তা জরিপে উঠে এসেছে। এই অ্যান্টিবডি ইতোপূর্বে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার একটি লক্ষণ। অথচ এ ধরনের অনেকের করোনা পরীক্ষা করা হয়নি।
[৬] গবেষণায় দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ১২১টি নির্দেশকের ওপর। এরপর এসব নির্দেশক এবং যেসব দেশ থেকে বাড়তি মৃতের সংখ্যার তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ে বিশেষ মডেল ব্যবহার করা হয়েছে। যেসব দেশ থেকে বাড়তি মৃতের সংখ্যার তথ্য পাওয়া যায়নি, সেসব ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়েছে এ মডেল।